৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছেছে: কক্সবাজারে শিক্ষামন্ত্রী

  বিশেষ প্রতিনিধি    09-01-2023    155
৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছেছে: কক্সবাজারে শিক্ষামন্ত্রী

বছরের শুরুর দিন দেশের প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কাগজের সংকটের কারণে যথাসময়ে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি শিক্ষার্থীরা বই পাবে বলে জানান মন্ত্রী।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন ‘ন্যানো-বায়ো অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং- ২০২৩’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সে কারণে কাগজের বিরাট সংকট ছিল। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়। যার কারণে ছাপাখানাগুলোকেও অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও বছরের প্রথম দিন শতকরা ৮০ শতাংশ বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। বাকি বইগুলো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।’

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক বাংলাদেশে আছি, সে মানবিকতা ও সৃজনশীলতাকে বজায় রেখে উন্নত সমৃদ্ধির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা সম্ভব।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা শুধুমাত্র শিক্ষার ক্ষেত্রে উপলব্ধি করছি তা না, এটার বাস্তব প্রয়োগে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যত টেকনোলজির কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে ন্যানো-বায়ো টেকনোলজি একটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়।

এর আগে গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল (সিএইচই) বিভাগের আয়োজনে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দেশ-বিদেশের ২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গবেষণা করতে হবে, উদ্ভাবনও করতে হবে। সেই উদ্ভাবনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় এবং বাণিজ্যিকীকরণে যাওয়া এ পুরো পথটাতে কিন্তু আমাদের যেতে হবে। উদ্ভাবন করে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে দিলাম তা নয়; এটা মানব সমাজের জন্য যে ব্যবহার সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।