৫০ বছর পরেও বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

  বিশেষ প্রতিনিধি    23-01-2023    140
৫০ বছর পরেও বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণতন্ত্রের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সব সময় একই জায়গায় থাকে— মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে ৫০ বছর পরে আবারও একই কথা বলতে হচ্ছে। আবারও রাস্তায় নামতে হচ্ছে, বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

মির্জা ফখরুল বলেন,‘আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। ভোটটা দিতে চাই, আমার মতটা প্রকাশ করতে চাই। এই জন্যই আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, এবং এইটাই বাংলাদেশের আত্মা। সেই আত্মাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এটা সবচেয়ে বড় অপরাধ তারা করেছে।’

আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুচিন্তিত ও পরিকল্পিতভাবে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এখন যে পার্লামেন্ট তারা তৈরি করেছে, এটা একদলীয় একটা কার্প তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের গেটওয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষ এখন ভোটই দিতে যেতে চায় না। পুরো জুডিশিয়াল সিস্টেমকে তারা দলীয়করণ করে ফেলেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং জনগণ কেন সেই আন্দোলন করবে, তা পরিষ্কার করতে অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে ২৭ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা উপস্থাপনা করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি নিশ্চিত করেন, জনগণের বা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ২৭ দফা নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোনও প্রস্তাব থাকলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে।’

আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অনেকের কথায় হতাশার ছাপ পাই খুঁজে, কেন হতাশ হবো আমরা। আমরা তো সাকসেসফুল হচ্ছি প্রতিটি পদে পদে।’

পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতিগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে যে সব বিষয় এসেছে, এগুলো আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জীবন, আমাদের ধর্মবোধের বিপরীতমুখী। সুতরাং, এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না।’

তিনি বলেন,‘‘আজকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন— ‘এটা পরিবর্তন করা হবে, ইস্যু বানাবেন না।’ ইস্যু তো বানিয়ে দিয়েছেন আপনারা। এই বই ছাপিয়েছেন এই দেশের মানুষের চিন্তাভাবনা তার চেতনা, সংস্কৃতি তার ঐতিহ্য সব কিছুকে অপমান করে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই সব বই তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা।

জাতীয়-এর আরও খবর