‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না’

  বিশেষ প্রতিনিধি    08-09-2022    143
‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না’

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না। এজন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে নিরক্ষর মানুষ রাখা হবে না। সাক্ষরতার কোনো বিকল্প নেই। আগামীকাল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমন ঘোষণা দেন। জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এখানো ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সাক্ষরতার বাইরে। তাদের সাক্ষরতার আওতায় আনতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে একযোগে তা পালন করা হবে। ‘গত কয়েক বছরে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুলাই এ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এর বাইরে পিইডিবি-৪ প্রকল্পের আওতায় স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও স্কুলে যায়নি এমন ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের মৌখিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের হাতে কলমে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশে এখানো সাক্ষরতার কোনো রূপরেখা তৈরি করা হয়নি। কতটুক শিখলে সাক্ষরতা জ্ঞান অর্জন হবে তার একটি রূপরেখা করা হবে। দেশে চার কোটি মানুষের বেশি যারা এখানো সাক্ষরতার বাইরে রয়েছে। তাদের এর আওতায় আনা হবে। ‘চলতি বছর প্রথম শ্রেণির পাইলটিং করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। আমাদের নতুন কারিকুলামের পাঠ্যবই তৈরি হলেও শিক্ষক গাইড এখানো তৈরি করা হয়নি বলে সেটি পাইলটিং করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষকরা কী পড়াবেন সেটি যদি সুনির্দিষ্ট না থকে তবে পাইলটিং কাজে সফলতা আসবে না।’ তিনি বলেন, আগামী বছর (২০২৩ সাল) থেকে পাইলটিং হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে। ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-এর আরও খবর