নির্বাচন ব্যালটে হলেও বিএনপির আগ্রহ নেই: ফখরুল

  বিশেষ প্রতিনিধি    04-04-2023    484
নির্বাচন ব্যালটে হলেও বিএনপির আগ্রহ নেই: ফখরুল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালটে হলেও বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে রাজনীতিবিদের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের ১৭তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ১৬ বছর পর জাতীয় পার্টি অংশ নিল। এতে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম অংশ নেন।

এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। এদের মধ্যে এলডিপির ড. অলি আহমেদ বীরবিক্রম, রেদোয়ান আহমেদ, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ফোরকান ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন বেপারী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, মাইনোরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি মণ্ডল, সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম ছিলেন।

সংসদ নির্বাচন ব্যালটে হলেও বিএনপির আগ্রহ না থাকার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে জাতির সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সরকার থাকবে, কী ধরনের সরকার থাকবে, এটাই হচ্ছে প্রধান সংকট। এ কারণে আজকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের। সেখান থেকে আমরা বহু দূর সরে এসেছি।

তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আজকে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে সবাই এক যোগ হয়ে আওয়াজ তুলি- আমরা এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসি, একটা মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ করি, সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক আমরা রাষ্ট্র করি।’

ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

জাতীয়-এর আরও খবর