একই সরলরেখায় এসে মিলিত হয়েছে সৌরজগতের পাঁচ গ্রহ বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, ইউরেনাস ও মঙ্গলগ্রহ এবং পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
গত সোমবার পৃথিবীজুড়ে রাতের আকাশে কোথাও কোথাও খালি চোখে দেখা গেছে এই বিরল দৃশ্য।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে বলেন প্ল্যানেটরি প্যারেড বা ‘গ্রহপুঞ্জের কুচকাওয়াজ’।
সোমবার সন্ধ্যার পরই পশ্চিমা অনেক দেশের আকাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। সন্ধ্যার পরপরই খালি চোখে এ দৃশ্য দেখা যাওয়ার কারণ বুধ ও বৃহস্পতি দ্রুত দিগন্তে মিলিয়ে যায়। কয়েকটি গ্রহের এভাবে একটি সরলরেখায় আসার দৃশ্য গত গ্রীষ্মেও দেখা গিয়েছিল। সেবার মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রের সঙ্গে দেখা যায় শনিকেও।
আলো ছিল কম ও আকাশ দেখতে কোনো বাধা ছিল না এমন জায়গাগুলো থেকে সোমবার সরলরেখায় এই পাঁচটি গ্রহ ও একটি উপগ্রহ সবচেয়ে ভালো দেখা গেছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকাশ পরিষ্কার থাকার কারণে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে এবং স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন দ্বীপে এ দৃশ্য ভালো দেখা যায়।
অ্যাস্ট্রোনোমার রয়্যাল ফর স্কটল্যান্ডের অধ্যাপক ক্যাথেরিন হেমানস এদিন স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার পোর্টোবেলে সমুদ্রসৈকতে রাতের আকাশ দেখেছেন। তিনি বলেন, রাতের আকাশে এমন দৃশ্য ছিল সত্যিই চমকপ্রদ।
রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিদ জ্যাক ফস্টার বলেন, ‘পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচ গ্রহের এভাবে এক সরলরেখায় আসা ছিল বিশেষ একটি ঘটনা। সাধারণত গ্রহগুলো এক রেখায় থাকে না, সৌরজগতে ছড়িয়ে থাকে। অনেক দিন পরপর গ্রহগুলো কাছাকাছি এলে আমরা এক সরলরেখায় তাদের দেখতে পাই।’
ইউরোপে সবচেয়ে গভীর কালো আকাশ দেখা যায় যুক্তরাজ্যের নর্থ ওয়েলসের অ্যাঙ্গলেসি দ্বীপ থেকে। সেখানকার লিন উপদ্বীপের ইনিস এনলি (বার্ডসে দ্বীপ) ইউরোপের প্রথম স্থান হিসেবে আন্তর্জাতিক ‘ডার্ক স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারির’ স্বীকৃতি পেয়েছে। অ্যাঙ্গলেসিতে নর্থ ওয়েলসের ‘ডার্ক স্কাই’বিষয়ক কর্মকর্তা ড্যানি রবার্টসন। তিনি বলেন, ‘কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সোমবার রাতের আকাশ ছিল চোখের জন্য প্রশান্তিদায়ক। আমি বাড়ির উঠোন থেকেই দারুণ একটা বাঁকা চাঁদ দেখেছি। চাঁদের ঠিক ওপরে লাল আভা দেওয়া মঙ্গলগ্রহ দেখলাম। সেখান থেকে খানিকটা নিচের দিকে জ্বলজ্বল করছিল শুক্র। আকাশ স্বচ্ছ থাকলে সব দেখতে পেতাম।’
স্কটল্যান্ড সীমান্তের হেক্সহ্যামের কিলডার অবজারভেটরি থেকে ড্যান পাই বলেন, ‘গ্রহগুলো এক সরলরেখায় এসে মিলিত হওয়ার কারণে সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। রাতভর গ্রহগুলোর অবস্থান পরিবর্তন হয়। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, আমরাও সূর্যের চারদিকে আরেকটু ঘুরি এবং অন্য গ্রহগুলোও সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকে।’
সৌরজগতের পাঁচ গ্রহ ও চাঁদ একই সরলরেখায় দেখা দিল
একই সরলরেখায় এসে মিলিত হয়েছে সৌরজগতের পাঁচ গ্রহ বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, ইউরেনাস ও মঙ্গলগ্রহ এবং পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
গত সোমবার পৃথিবীজুড়ে রাতের আকাশে কোথাও কোথাও খালি চোখে দেখা গেছে এই বিরল দৃশ্য।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে বলেন প্ল্যানেটরি প্যারেড বা ‘গ্রহপুঞ্জের কুচকাওয়াজ’।
সোমবার সন্ধ্যার পরই পশ্চিমা অনেক দেশের আকাশে এ দৃশ্য দেখা যায়। সন্ধ্যার পরপরই খালি চোখে এ দৃশ্য দেখা যাওয়ার কারণ বুধ ও বৃহস্পতি দ্রুত দিগন্তে মিলিয়ে যায়। কয়েকটি গ্রহের এভাবে একটি সরলরেখায় আসার দৃশ্য গত গ্রীষ্মেও দেখা গিয়েছিল। সেবার মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রের সঙ্গে দেখা যায় শনিকেও।
আলো ছিল কম ও আকাশ দেখতে কোনো বাধা ছিল না এমন জায়গাগুলো থেকে সোমবার সরলরেখায় এই পাঁচটি গ্রহ ও একটি উপগ্রহ সবচেয়ে ভালো দেখা গেছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকাশ পরিষ্কার থাকার কারণে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে এবং স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন দ্বীপে এ দৃশ্য ভালো দেখা যায়।
অ্যাস্ট্রোনোমার রয়্যাল ফর স্কটল্যান্ডের অধ্যাপক ক্যাথেরিন হেমানস এদিন স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার পোর্টোবেলে সমুদ্রসৈকতে রাতের আকাশ দেখেছেন। তিনি বলেন, রাতের আকাশে এমন দৃশ্য ছিল সত্যিই চমকপ্রদ।
রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিদ জ্যাক ফস্টার বলেন, ‘পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচ গ্রহের এভাবে এক সরলরেখায় আসা ছিল বিশেষ একটি ঘটনা। সাধারণত গ্রহগুলো এক রেখায় থাকে না, সৌরজগতে ছড়িয়ে থাকে। অনেক দিন পরপর গ্রহগুলো কাছাকাছি এলে আমরা এক সরলরেখায় তাদের দেখতে পাই।’
ইউরোপে সবচেয়ে গভীর কালো আকাশ দেখা যায় যুক্তরাজ্যের নর্থ ওয়েলসের অ্যাঙ্গলেসি দ্বীপ থেকে। সেখানকার লিন উপদ্বীপের ইনিস এনলি (বার্ডসে দ্বীপ) ইউরোপের প্রথম স্থান হিসেবে আন্তর্জাতিক ‘ডার্ক স্কাই স্যাঙ্কচুয়ারির’ স্বীকৃতি পেয়েছে। অ্যাঙ্গলেসিতে নর্থ ওয়েলসের ‘ডার্ক স্কাই’বিষয়ক কর্মকর্তা ড্যানি রবার্টসন। তিনি বলেন, ‘কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সোমবার রাতের আকাশ ছিল চোখের জন্য প্রশান্তিদায়ক। আমি বাড়ির উঠোন থেকেই দারুণ একটা বাঁকা চাঁদ দেখেছি। চাঁদের ঠিক ওপরে লাল আভা দেওয়া মঙ্গলগ্রহ দেখলাম। সেখান থেকে খানিকটা নিচের দিকে জ্বলজ্বল করছিল শুক্র। আকাশ স্বচ্ছ থাকলে সব দেখতে পেতাম।’
স্কটল্যান্ড সীমান্তের হেক্সহ্যামের কিলডার অবজারভেটরি থেকে ড্যান পাই বলেন, ‘গ্রহগুলো এক সরলরেখায় এসে মিলিত হওয়ার কারণে সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। রাতভর গ্রহগুলোর অবস্থান পরিবর্তন হয়। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, আমরাও সূর্যের চারদিকে আরেকটু ঘুরি এবং অন্য গ্রহগুলোও সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 20, 2024, 4:06 pm