১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরল সিটি কলেজ ছাত্র!

  বিশেষ প্রতিনিধি    21-04-2023    102
১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরল সিটি কলেজ ছাত্র!

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার সাবেক মেম্বার সামশুল আলম বাবুলের ছেলে ও কক্সবাজার সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আল ফায়সালকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাঁচদিন পর প্রাণে ফিরিয়ে দিয়েছে অপহরনকারীরা। এসময় তাকে প্রচুর শারিরীক-মানষিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল ভোরে সেহেরি খেয়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনের মতো মসজিদে যায় ফায়সাল। সে যে গেলো আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজতে থাকে। কোথাও না পেয়ে এক পর্যায়ে বাড়ির সি সি ক্যামরার ফুটেজ চেক করে দেখতে পায় একটি সিএনজির আনাগোনা হয়েছে। ফলে অপহরণ হওয়ার সন্দেহ হয়। কারন সম্প্রতি টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা ও ইজিবাইক করে অপহরণের অহরহ ঘটনা ঘটছে।

অবশেষে একদিন পর মোবাইলফোনে কল আসে ফায়সালকে অপহরণ করা হয়েছে। জীবিত ফেরত পেতে চাইলে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পুলিশ কিংবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করা হয়। এমন কি অপহরণকারীরা ওয়াটসআপ ব্যবহার করে কল দিয়ে যোগাযোগ করতো।

অবশেষে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্রিক ফিল্ডস্থ স্থানে ফায়সালকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেয়।

অপহৃত ফায়সালের পিতা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সামশুল আলম বাবুল জানান, কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতকারী মিলে অপহরণের এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জমি বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলে ফায়সালকে অপহরণ কারীদের কবল থেকে ফিরিয়ে এনেছি। ছেলেকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে।

এ ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

২১ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দীন মজুমদার জানান, এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রনন করা হবে।

উল্লেখ, সম্প্রতি পুরো টেকনাফে অপহরণ আতংকে বিরাজ করছে। সন্ধ্যা নামলেই গ্রাম-গঞ্জে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। এমন কি মসজিদে নামাজ আদায়ে যাচ্ছেনা। প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে।

দৃশ্যত কোন অভিযান নেই। ফলে এক প্রকার ফুঁসে উঠছে টেকনাফবাসী। এই দূর্বৃত্তদের দমন করতে পাহাড়ে ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সাঁড়াশি অভিযান জরুরি বলে মনে করেন সচেতন করতে।

সারাদেশ-এর আরও খবর