রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল

  বিশেষ প্রতিনিধি    05-05-2023    73
রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল

প্রথম দফা প্রত্যাবাসনের আগে মাঠ পর্যায়ের চিত্র দেখতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে যাচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আরআরআরসির ৭ সদস্যসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টার দিকে টেকনাফের ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে ২৭ সদস্যর প্রতিনিধি দলটি নৌপথে স্পীড বোট যোগে রওনা করেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা জানা যায়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা ২০জন রোহিঙ্গা সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ন সচিব) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আরো ৭জন কর্মকর্তাসহ মোট ২৭জনের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য মংডুর টাউনশীপ (আইডিপি) ক্যাম্পে স্পীড যোগে নৌ-পথে শুক্রবার সকালে টেকনাফের জেটিঘাট দিয়ে রওনা করেন। এ ছাড়া প্রতিনিধি দল সেখানে ১৫ টি গ্রাম সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।

এবং গত ১৫ মার্চ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম কর্তৃক যাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ নেন সাতদিনে ১৪৭টি পরিবারের প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষে ২২ মার্চ তারা ফিরে যান।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি দেখতে রাখাইনে রাজ্য মংডুতে রোহিঙ্গা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও-আরআরসি প্রতিনিধি সহ একটি টিম আজ সকালে মিয়ানমার রওনা দেয়।

উল্লেখ্য,মানবিক কারণে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।একাধিকবার তালিকা তৈরি করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সরকার রাখাইনে সেনাদের অভিযান শুরুর করার পর রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় এর আগে ছিল আরো ৫লাখ। এঘটনার পর আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আর শুরু হয়নি। তবে ২০১৯ সালে দু’দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।

নতুন করে আবারো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা তথ্য যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশে আসার পর ৭দিনে প্রথম তালিকার ১৪৭টি পরিবারের ৫০০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। সাক্ষাতকার নেওয়া ওই তালিকা থেকে ২০ রোহিঙ্গা মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য পরিস্থিত দেখতে মংডুতে অবস্থান করবে।

সারাদেশ-এর আরও খবর