১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

  বিশেষ প্রতিনিধি    14-05-2023    90
১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রম করেছে। এতে বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অনভ্যন্তরে আরো উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এ কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের মহা বিপৎসংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এটি এই সিরিজের শেষ বুলেটিন। এরপর এই সিরিজের আর কোনো বুলেটিন প্রকাশ করবে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই বুলেটিনে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত তুলে নিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলে, ট্রলার/নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ আজ সকাল ৬টায় বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। পরে বিকেল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্র স্থলভাগে ওঠে।

সেন্ট মার্টিনে দুপুর আড়াইটার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। মহা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। কাল যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন সিগন্যাল তুলে নেওয়া হতে পারে। মূলত পরিস্থিতি ফেভার করলে সিগন্যাল কমানো হবে। তা না হলে থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেকনাফ ও উখিয়ায়। ঘূর্ণিঝড়ে এ দুই উপজেলায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১২০০ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ ও উখিয়ায় ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি। এই দ্বীপের ২৭০০ ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে প্রায় সবগুলোই আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সারাদেশ-এর আরও খবর