অবশেষে নিজেদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে চলাচলের প্রধান সড়কের অর্ধ কিলোমিটার অংশ সংস্কার কাজ শুরু করেছে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল গ্রামবাসী। সোমবার, ১০ জুলাই সকালে এ সংস্কার কাজে অংশ নেন গ্রামের অর্ধ শতাধিক যুব-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।
সংস্কারকাজে অংশ নেয়া কৃষক আবদুর রহিম ও মীর কাসেম জানান- কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহত্তর মনিরঝিল এলাকার প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ সব সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় ভরপুর এসব সড়কে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে মনিরঝিল ও আশপাশের এলাকার ২০ হাজারের অধিক জনসাধারণ চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও তাদের দুর্ভোগ লাঘবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের কৃষক, ব্যবসায়ীসহ দরিদ্র জনসাধারণ চাঁদা তোলে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন ইসলামি ব্যাংক রামু শাখায় কর্মরত নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম তারা জানান- গ্রামবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে মনিরঝিল ঘাট থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার সড়ক ইট, বালি ও ইটের গুড়া দিয়ে সংস্কার করে হালকা যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।
এ কাজ এলাকাবাসীর একটি প্রতিবাদ স্বরূপ। সড়ক সংস্কারের এ উদ্যোগে গ্রামের দরিদ্র লোকজনও অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তবে এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও বিত্তবান ব্যক্তি এ কাজে কোনো সহায়তা করেনি। এরপরও গ্রামের সাধারণ জনতা নিজেদের সাধ্যমতো এগিয়ে আসায় এ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
তারা আরও জানান- নাজুক সড়কের কারণে মনিরঝিলবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রধান সড়কটির কোথাও ইট বিছানো, কোথাও কাঁচা। সড়কের ইট বিছানো অংশ জরাজীর্ণ ও বৃষ্টির পানিতে কাদাময় হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।
এতে ঝুঁকি নিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি হাসপাতালে নেয়ার পথে এক প্রসূতি মা জরাজীর্ণ সড়কেই গাড়ি আটকে গিয়ে সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি সর্বত্র তোলপাড় হলেও এখনো ওই এলাকার সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে কোন উদ্যোগ দেখেনি এলাকাবাসী। বলতে গেলে এখানকার মানুষ এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এমন অবহেলিত এলাকা আর কোথাও আছে কিনা তাদের জানা নেই।
রামু উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি জানিয়েছেন- নিরুপায় হয়ে মনিরঝিলের বাসিন্দারা সড়ক সংস্কারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখছে। এ গ্রামের সবকটি সড়কের বেহাল অবস্থা তিনি সম্প্রতি নিজে গিয়ে দেখেছেন। খানাখন্দকে ভরপুর এ সড়কে একজন নারী বিনা চিকিৎসায়, চরম যন্ত্রণা সয়ে সন্তান প্রসবও করেছেন। এরপরও সড়কের কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটি তাঁর জন্য চরম লজ্জার। তিনি অবিলম্বে ওই গ্রামে জরাজীর্ণ সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সড়ক বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাসান ভুঁইয়া জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী সোনাইছড়ি হতে মনিরঝিল স্কুল সংযোগ সড়কের ২ কিলোমিটার অংশ সিটিজি থ্রি প্রকল্পে অনুমোদনের জন্য ডিপিপি’র তালিকায় আছে। যা প্রাক্কলন করে সদর দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। অনুমোদন পেলে চলতি অর্থ বছরে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হবে। এছাড়াও প্রধান সড়কের ৫০০ মিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
রামুর মনিরঝিলে গ্রামবাসীর অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার
অবশেষে নিজেদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে চলাচলের প্রধান সড়কের অর্ধ কিলোমিটার অংশ সংস্কার কাজ শুরু করেছে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল গ্রামবাসী। সোমবার, ১০ জুলাই সকালে এ সংস্কার কাজে অংশ নেন গ্রামের অর্ধ শতাধিক যুব-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।
সংস্কারকাজে অংশ নেয়া কৃষক আবদুর রহিম ও মীর কাসেম জানান- কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহত্তর মনিরঝিল এলাকার প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ সব সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় ভরপুর এসব সড়কে যানবাহন চলাচলও স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে মনিরঝিল ও আশপাশের এলাকার ২০ হাজারের অধিক জনসাধারণ চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও তাদের দুর্ভোগ লাঘবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের কৃষক, ব্যবসায়ীসহ দরিদ্র জনসাধারণ চাঁদা তোলে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।
সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন ইসলামি ব্যাংক রামু শাখায় কর্মরত নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম তারা জানান- গ্রামবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে মনিরঝিল ঘাট থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার সড়ক ইট, বালি ও ইটের গুড়া দিয়ে সংস্কার করে হালকা যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।
এ কাজ এলাকাবাসীর একটি প্রতিবাদ স্বরূপ। সড়ক সংস্কারের এ উদ্যোগে গ্রামের দরিদ্র লোকজনও অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তবে এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও বিত্তবান ব্যক্তি এ কাজে কোনো সহায়তা করেনি। এরপরও গ্রামের সাধারণ জনতা নিজেদের সাধ্যমতো এগিয়ে আসায় এ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
তারা আরও জানান- নাজুক সড়কের কারণে মনিরঝিলবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রধান সড়কটির কোথাও ইট বিছানো, কোথাও কাঁচা। সড়কের ইট বিছানো অংশ জরাজীর্ণ ও বৃষ্টির পানিতে কাদাময় হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।
এতে ঝুঁকি নিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি হাসপাতালে নেয়ার পথে এক প্রসূতি মা জরাজীর্ণ সড়কেই গাড়ি আটকে গিয়ে সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি সর্বত্র তোলপাড় হলেও এখনো ওই এলাকার সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে কোন উদ্যোগ দেখেনি এলাকাবাসী। বলতে গেলে এখানকার মানুষ এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এমন অবহেলিত এলাকা আর কোথাও আছে কিনা তাদের জানা নেই।
রামু উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি জানিয়েছেন- নিরুপায় হয়ে মনিরঝিলের বাসিন্দারা সড়ক সংস্কারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখছে। এ গ্রামের সবকটি সড়কের বেহাল অবস্থা তিনি সম্প্রতি নিজে গিয়ে দেখেছেন। খানাখন্দকে ভরপুর এ সড়কে একজন নারী বিনা চিকিৎসায়, চরম যন্ত্রণা সয়ে সন্তান প্রসবও করেছেন। এরপরও সড়কের কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটি তাঁর জন্য চরম লজ্জার। তিনি অবিলম্বে ওই গ্রামে জরাজীর্ণ সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সড়ক বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাসান ভুঁইয়া জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী সোনাইছড়ি হতে মনিরঝিল স্কুল সংযোগ সড়কের ২ কিলোমিটার অংশ সিটিজি থ্রি প্রকল্পে অনুমোদনের জন্য ডিপিপি’র তালিকায় আছে। যা প্রাক্কলন করে সদর দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। অনুমোদন পেলে চলতি অর্থ বছরে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কিলোমিটার সড়ক এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হবে। এছাড়াও প্রধান সড়কের ৫০০ মিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক
তাকছিমুন নাহার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: October 9, 2024, 3:17 pm