ক্ষমতা ছাড়তেই হবে : মির্জা ফখরুল

  বিশেষ প্রতিনিধি    06-10-2023    59
ক্ষমতা ছাড়তেই হবে : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ রাস্তায় নেমেছে। কত দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন- আপনাকে গুণতে হবে। দেশটা ইজারা দেইনি আমরা। আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। সময় থাকতে না ছাড়লে জনগণের প্রবল আন্দোলনে আপনি ক্ষমতাচ্যুত হবেন। আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ (নুর) আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা- তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম, আগের দিন রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে, তা-ও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনে আমরা যায়নি। তিনি বলেন, আবারও শেখ হাসিনা একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সে লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা আর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করতে রাজপথমুখী। ক্ষমতা ছাড়তেই হবে : মির্জা ফখরুল আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনপিপি : ইদ্রিস চৌধুরী গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি সমাবেশ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি সমাবেশ বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার শুধু দেশের জনগণ নয়, গোটা পশ্চিমা বিশ্ব এখন শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। দেশের সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিমাসে রিজার্ভ কমছে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমছে। ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। মানুষ ঠিকমতো খেতে পারে না। কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়ে কেউ কথা বলেন না। প্রতিবাদ করায় বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক হয়েছে, এবার যাও’- এমন স্লোগান তরুণদের কণ্ঠে জোরালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। গণদাবি মেনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে তাকে জনগণের প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে। তারপর নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেই ভোটে অংশ নেবে বিএনপি। এদের অধীনে কোনো ভোটে যাবে না বিএনপি ও সমমনারা। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের (মন্টু) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ নেতারা।

জাতীয়-এর আরও খবর