রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন, তিন বগি ক্ষতিগ্রস্ত ও শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

  বিশেষ প্রতিনিধি    19-12-2023    82
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন, তিন বগি ক্ষতিগ্রস্ত ও শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা-নেত্রকোনা রুটে চলাচলরত মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। আজ মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর ৫ টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেল স্টেশনের সামনে ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

মোহনগঞ্জ ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। তিনি বলেন, ‘আনুমানিক ভোর ৫টায় তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নি সন্ত্রাসীরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩টি বগিতে আগুন দেয়। ১টি বগি থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২টি বগিতে সার্চ করা হচ্ছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট পুলিশ প্রোটেকশনে কাজ করে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করে।’

এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ‘দেশ পত্রিকা’কে বলেন, ‘ট্রেনটি নেত্রকোণা থেকে ঢাকায় ফেরার পর বিমানবন্দর স্টেশন পার হয়ে খিলক্ষেত এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। পরে তারা চিৎকার করতে থাকেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।’ নিহত ৪ জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি ও তাঁর ৩ বছরের ছেলে ইয়াসিন। পুড়ে যাওয়া মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কমলাপুর স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নির্বাপণ করা হয় সকাল পৌনে ৭টার দিকে।

এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়ালে রেল স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় চিলাই ব্রিজের কাছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছিল। সেদিন গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘নাশকতার উদ্দেশ্যে রেললাইন কেটে রাখার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এতে ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, মরদেহ চারটি সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

জাতীয়-এর আরও খবর