সক্রিয় ভারতীয় চোরাই চক্র ভারতে যেত চোরাই মোবাইল ফোন, আসত কসমেটিকস

  বিশেষ প্রতিনিধি    08-03-2024    45
সক্রিয় ভারতীয় চোরাই চক্র ভারতে যেত চোরাই মোবাইল ফোন, আসত কসমেটিকস

বাংলাদেশ থেকে আইফোনসহ চোরাই দামি স্মার্টফোন ভারতে পাচার করে একটি চক্র। একই সঙ্গে ভারতে থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে কসমেটিকস, শাড়ি ও থ্রি পিসসহ নানা দ্রব্য অবৈধ পথে বাংলাদেশে এনে বিক্রি করে তারা। এমন একটি চক্রের সন্ধান পেয়ে বুধবার রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ৯ ভারতীয় ও এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, ভারতীয় নাগরিক রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস ও বাংলাদেশি নাগরিক মুরাদ গাজী।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১টি দামি মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি পিস, ৫টি ভারতীয় পাসপোর্ট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বাংলাদেশ থেকে দামি আইফোন, স্যামসাংসহ অন্যান্য দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করত। আবার ভারতে চুরি হওয়া কিছু মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করত। বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশী মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিকস, সেক্স পিল ও জেল বিক্রি করে আসছিলেন। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন জব্দ করা মালামাল কোনোটাই বৈধ পথে আনা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্স পরিশোধ না করে ভারতীয় এসব মালামাল চোরাই পথে বাংলাদেশ এনে বিক্রি করে আসছিলেন।

হারুন বলেন, বাংলাদেশে নামাজ পড়তে গিয়ে, জনসভায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে, পথিমধ্যে চলতে গিয়ে অথবা মার্কেটিং করতে গিয়ে প্রতিদিন অনেক আইফোন, স্যামসাংসহ অন্যান্য দামি ব্র্যান্ডের ফোন চুরি হয়। এসব ঘটনায় চোর ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোবাইল উদ্ধার হয় না। চোর এবং তাদের মহাজনদের গ্রেপ্তার করে জানা গেছে, বাংলাদেশে চুরি হওয়া ভালো মানের মোবাইলফোনগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিক্রি হয়। গ্রেপ্তার কয়েকজন এবং তাদের অন্য সহযোগীরা বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া দামি মোবাইলফোনগুলো কম দামে কিনে ভারতের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে ডিবির অভিযান অব্যাহত আছে।

জাতীয়-এর আরও খবর