থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য সরকার আহ্বান জানালেও খুব একটা কাজে আসছে না। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো ২ হাজার ৬৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। এই লুট হওয়া অস্ত্রসহ তিন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু করছে যৌথবাহিনী।
যদিও লাইসেন্স স্থগিত করা অস্ত্রসহ সব অস্ত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরুর কথা রয়েছে। এই যৌথ অভিযানে অংশ নেবে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি, তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং যাদের কাছে এসব অস্ত্র রয়েছে তাদের বিচার করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ, বিভিন্ন থানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার ৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় লাখ ছয় হাজার ৭৪২টি গুলি লুট হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৬৩টি অস্ত্র এবং দুই লাখ ৮৬ হাজার ৮২টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র এবং তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি নিখোঁজ রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ হাজার ৪৪টি টিয়ারশেল, এক হাজার ৪৫৫টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড, চার হাজার ৬৯২টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২৯১টি স্মোক গ্রেনেড, ৫৫টি স্টান গ্রেনেড, ৮৯৩টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড এবং ১৭৭টি টিয়ারগ্যাস স্প্রে লুট করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ২২ হাজার ১৩৯টি টিয়ারশেল, ৭০৪টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড, দুই হাজার ১১৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২১৩টি কালার স্মোক গ্রেনেড, ১৮টি স্টান গ্রেনেড, ৫৩৩টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড এবং ৯৪টি টিয়ারগ্যাস স্প্রে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বর্তমান সরকার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার শুরু হবে। আজ দুপুরে সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। এ সভায় দেশের কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা যায়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদক দেশের বড় সমস্যা। কীভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে।
উদ্ধার হয়নি ২ হাজার অস্ত্র ও সোয়া ৩ লাখ গুলি: দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু
থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য সরকার আহ্বান জানালেও খুব একটা কাজে আসছে না। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো ২ হাজার ৬৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। এই লুট হওয়া অস্ত্রসহ তিন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু করছে যৌথবাহিনী।
যদিও লাইসেন্স স্থগিত করা অস্ত্রসহ সব অস্ত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরুর কথা রয়েছে। এই যৌথ অভিযানে অংশ নেবে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি, তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং যাদের কাছে এসব অস্ত্র রয়েছে তাদের বিচার করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ, বিভিন্ন থানা ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার ৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় লাখ ছয় হাজার ৭৪২টি গুলি লুট হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৬৩টি অস্ত্র এবং দুই লাখ ৮৬ হাজার ৮২টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র এবং তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি নিখোঁজ রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ হাজার ৪৪টি টিয়ারশেল, এক হাজার ৪৫৫টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড, চার হাজার ৬৯২টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২৯১টি স্মোক গ্রেনেড, ৫৫টি স্টান গ্রেনেড, ৮৯৩টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড এবং ১৭৭টি টিয়ারগ্যাস স্প্রে লুট করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ২২ হাজার ১৩৯টি টিয়ারশেল, ৭০৪টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড, দুই হাজার ১১৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২১৩টি কালার স্মোক গ্রেনেড, ১৮টি স্টান গ্রেনেড, ৫৩৩টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড এবং ৯৪টি টিয়ারগ্যাস স্প্রে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বর্তমান সরকার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার শুরু হবে। আজ দুপুরে সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। এ সভায় দেশের কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা যায়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদক দেশের বড় সমস্যা। কীভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক
তাকছিমুন নাহার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: September 20, 2024, 11:00 am