রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের জোরালো ভূমিকা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-10-2022    172
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের জোরালো ভূমিকা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সফল করতে যুক্তরাজ্যকে আরও জোরালো ও কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিকে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির মধ্যে সৌজন্য ফোনালাপ হয়। এ সময় ড. মোমেন এ অনুরোধ জানান। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই তার প্রথম ফোনালাপ। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়। এ প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষকরে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করার জন্য যুক্তরাজ্যকে আরও জোরালো এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি। সৌজন্য ফোনালাপের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন।

সারাদেশ-এর আরও খবর