ভালবাসার টানে ইতালির তরুণী রামুতে, চলতি মাসে হবে বিয়ে

  বিশেষ প্রতিনিধি    11-11-2022    169
ভালবাসার টানে ইতালির তরুণী রামুতে, চলতি মাসে হবে বিয়ে

প্রেম মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশ। সে কথা আবারও প্রমাণিত হলো। এবার বাংলাদেশের তরুণের প্রেমের টানে নিজ দেশ ইতালি ছেড়ে কক্সবাজারের রামুতে চলে এসেছেন রুবের টা (২৩) নামে এক ইতালিয়ান তরুণী। চলতি মাসেই বাঁধছেন সংসার।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার যুবক রুনেক্স বড়ুয়া (২৮) গেল ৯ নভেম্বর ইতালির সার্দেনিয়া শহর থেকে একসাথে বাংলাদেশে আসেন।

জানা যায় রুনেক্স রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি বড়ুয়া পাড়ার ফ্রান্স প্রবাসী বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে।

রুনেক্স বড়ুয়া মা সুমি বড়ুয়া জানান, অনার্স পাস রুনেক্স প্রায় তিন বছর আগে ইতালিতে যান। সেখানে তিনি এই তরুণীর সঙ্গে একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করতেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় তরুণী বাংলাদেশে আসেন। চলতি মাসেই তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হবে।তিনি আরও জানান, আমাদের স্বপ্ন ছিল তাকে বিদেশী বিয়ে করাবো। সেটায় বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। আমার বৌকে নিয়ে আমি খুব খুশি। তাদের ধুম-ধাম করে বিয়ে দেবো। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবো। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন

রুনেক্স বড়ুয়া বলেন, তিন বছর আগে ইতালি গিয়েছিলাম। একটি হোটেলের রিসিভসনে কাজ করছিলাম। সেখানে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। তারপর প্রেমের শুরু। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করবো। আপনাদের দাওয়াত। সেও আমার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন। আমার পরিবারও তাকে গ্রহণ করেছে। এ মাসেই বিয়ে শেষ করবো।

প্রেমের সফল পরিণতিতে রুবের টা বলেন, ‘মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবেন। ওকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ ধারা সামনের দিনগুলোতে বজায় থাকবে সেই প্রার্থনা করি।

রুনেক্স বড়ুয়ার ভাই শাওন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। ভাই-বৌদির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তিনি জানান, ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন, পরেছেন বাঙালি পোশাকও। লোকজন আজ সকাল থেকে তাকে দেখার জন্য তাঁদের বাড়িতে ভিড় করছে। তারা ঘুড়ে বেড়াচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সহ নানা স্থান।

রুনেক্সের আদিবাড়ি উখিয়া উপজেলার রাজাপালংয়ের সীলের ছড়া এলাকায়। বর্তমানে বসবাস রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি বড়ুয়া পাড়ায়। তার বাবাও ফ্রান্স প্রবাসী।

সারাদেশ-এর আরও খবর