পিচ্ছিল সড়ক ট্রলি রেখে বস্তাভর্তি লবণ বোঝাই- দুর্ভোগে যাত্রীরা

  বিশেষ প্রতিনিধি    27-01-2023    195
পিচ্ছিল সড়ক ট্রলি রেখে বস্তাভর্তি লবণ বোঝাই- দুর্ভোগে যাত্রীরা

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সড়কে ট্রলি রেখে বস্তাভর্তি লবণ বোঝাই ও খোলা লবণ পরিবহনের কারণে সড়কে লবণ পানি পড়ে তার সাথে ধূলো জমে তৈরি হয়েছে কাদা। এর ফলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে। সকাল-বিকালের হালকা কুয়াশায় সড়ক হয়ে উঠেছে মৃত্যুর ফাঁদ। পিচ্ছিল আস্তরণের কারণে সড়কে চলাচলরত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যত্রতত্র দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এছাড়া, লবণ পানির কারণে সড়কের আয়ু কমে যাচ্ছে।

এদিকে,সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ অতিরিক্ত বোঝাই ও সড়ক দখল করে বস্তাভর্তি লবণ রাখায় লবণাক্ত পানি ছড়িয়ে দু’পাশের মাটি ক্ষয়ে সড়কগুলোর দিন দিন সংকীর্ণ হচ্ছে এবং দূঘর্টনাও বাড়ছে ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ট্রলি রেখে সড়কের বেশির ভাগ অংশ দখল করে লবণ বোঝাই করা হয়। এছাড়া দাঁড় করানোর পর পাশের মাঠ থেকে শ্রমিকেরা লবণ বোঝাই করে এনে ট্রলিতে তোলেন। এতে অন্যপাশের সংকীর্ণ অংশে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যাত্রীরা। একপাশ ঘেঁষে গাড়ি চলাচল করার কারণে দেবে যাচ্ছে সড়ক, যা পরে ভেঙে পড়ছে পাশের নিচু লবণমাঠে। একটি ট্রলিতে লবণ বোঝাই করতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। প্রতিদিন গড়ে দশ-বিশটি ট্রলিতে লবণ বোঝাই করা হয়।

জানা যায়, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তবলচর ও কবি জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে ট্রলি যায় আলী আকবর ডেইল ঘাটে এবং কৈয়ারবিল, লেমশীখালী, দক্ষিণ ধূরুং ও উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন থেকে ট্রলি বেশির ভাগ লবণ আসে আকবর বলির ঘাটে। লবণ পরিবহনের কারণে বিকাল থেকে ভোর পর্যন্ত এসব সড়ক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিগত একমাসে এ সড়কগুলোতে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নে। তাতে আহতের সংখ্যাও বেশি। দিনের বেলায় সামান্য পরিমাণ লবণবাহী ট্রলি চলাচল করলেও সন্ধ্যার পর বেশি সংখ্যক লবণের ট্রলি চলাচল করে এ সড়কে। এ সময় লবণ পানি আর কুয়াশায় সড়কে লবণ আর ধূলোয় জমাট বাধাঁ আস্তরণ তেলতেলে হয়ে উঠে। এ সময় কোন যানবাহন প্রয়োজনের সময় ব্রেক কষলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

উপজেলার এক কর্মকর্তা নাম না জানাতে ইচ্ছুক তিনি বলেন, যারা আইন শৃঙ্খলা সভায় ট্রলি গুলো প্রতিরোধ করার কথা বলে তাঁরাই প্রকৃতপক্ষে এ বানিজ্য সাথে জড়িত। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ কপিল উদ্দীন কবির জানান, আইনশৃঙ্খলা সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এখনো সিদ্ধান্ত আসে নি। আশা করি খুব শীঘ্রই এটা বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জর্জ মিত্র চাকমা জানান,এর আগে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান করে চলে আসার কিছুদিন পর আবার একই অবস্থা হয়ে থাকে। তবে খুব শীঘ্রই নতুন করে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সারাদেশ-এর আরও খবর