এক যুগ পর নদী বন্দরের জন্য দখল মুক্ত হচ্ছে বাঁকখালী

  বিশেষ প্রতিনিধি    02-03-2023    207
এক যুগ পর নদী বন্দরের জন্য দখল মুক্ত হচ্ছে বাঁকখালী

কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৩ শত একর জমি দুইদিনে অবৈধ দখল মুক্ত করেছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক যুগ আগে সরকার ঘোষিত নদী বন্দর বাস্তবায়নের জন্য উচ্চ আদালতের নিদের্শে এ উচ্ছেদ অভিযান এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও চলমান ছিল। এ পর্যন্ত নদীর তীরের ৩ শত একর জমির অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪ শতাধিক স্থাপনা।

তিনি জানান, নদীর তীরের প্যারাবন ধ্বংস করে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের আদেশ রয়েছে। যে নিদের্শ মতে, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর সকল দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জমি বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে বাঁকখালী নদী বন্দরের সংরক্ষক নিযুক্ত করে। প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি বিআইডব্লিউটিএকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো।

পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুণঃ যৌথ জরিপ করা হয়। জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বিলম্ব হলেও ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

সারাদেশ-এর আরও খবর