মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি চালুর আশা!

  বিশেষ প্রতিনিধি    12-03-2023    205
মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি চালুর আশা!

শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে প্রায় আড়াই বছর। মূলত দেশীয় গবাদি পশু পালনকারী খামারিদের কথা ভেবে সরকার গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছিলো। কিন্তু বৈধপথে আমদানি বন্ধ থাকলে চোরাই পথে আরো বেশি পরিমাণ চোরাই পশু দেশে ঢুকছে। এতে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের সুফল মিলছে না। উল্টো সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২১সালের কোরবানের আগে দেশীয় খামারিদের কথা বিবেচনা করে হঠাৎ মিয়ানমার থেকে গরুসহ অন্যান্য গবাদি পশু আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। করিডোর বন্ধ হওয়ায় কক্সবাজারের উখিয়া, রামু, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলিকদমসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে গরু-মহিষ আমদানিতে ঝুঁকে পড়ে। সেই থেকে এসব চোরাইপথদিয়ে দেঁদারসে অবৈধ পশু প্রবেশ করছে দেশে। এতে এক দিকে পথে গেছে সরকারের তালিকাভুক্ত পশু আমদানিকারকরা। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। অবৈধ পশু প্রবেশ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।

করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের সুফল না মিলায় এবার কোরবানের আগেই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে পশু আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আশা করছেন পশু আমদানিকারকরা। ইতিমধ্যের প্রশাসনের সাথে এই বিষয়ে কথাও বলেছেন তারা। করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করণে অনেকটা ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

শাহপরীর দ্বীপ করিডোর পশু আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ বলেন, দেশীয় খামারিদের কথা চিন্তা করে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ রাখার কোনো সুফল মিলেনি। বরং আরো ক্ষতি হয়েছে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা প্রশাসনের কাছে করিডোর খুলে দেয়ার আবেদন জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সে বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

শাহপরীর দ্বীপ করিডোর পশু আমদানিকারক মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, পশু আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারি তালিকাভুক্ত পশু আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার হারিয়েছে শত কোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু এমন ক্ষতি আর করা উচিত হবে না। আমাদের আবেদন গ্রহণ করে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমারের পশু আমদানি চালু করা হবে বলে আমরা আশাবাদী।

সারাদেশ-এর আরও খবর