ঘূর্ণিঝড় মোখা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

  বিশেষ প্রতিনিধি    14-05-2023    103
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫০০টির মতো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলে মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হওয়া। অস্থায়ী কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

আজ সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো আসলে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, বাতাসের বেগে বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০০ এর মতো আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে কোনোটি আংশিক, কোনোটি সম্পূর্ণ। দু-একটি জায়গায় গাছ পড়েছে। দু-একটি জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে শেল্টার সেক্টর ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে শেল্টারগুলোর ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামতে আমাদের শেল্টার সেক্টর কাজ করছে। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম বাতাসের গতিবেগ যাই হোক না কেন, এগুলো যেহেতু অস্থায়ী শেল্টার এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। পর্যাপ্ত শেল্টার কীট আছে এবং শেল্টার সেক্টর সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের ডিস্ট্রিবিউটর করবে।’

উখিয়ার ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ হাশেম বলেন, ‘বৃষ্টি ও বাতাসের সময় আমাদের ভয় কাজ করছিল। আমার ব্লকে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি তবে দুই তিনটি গাছ পড়েছে।’

পরিবারসহ ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি কমিউনিটি সেন্টার আশ্রয় নিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, ‘আমার ঘর পাহাড়ের নিচে তাই আমি এখানে চলে এসেছিলাম পরিবারের ৫ সদস্যসহ। বৃষ্টি থেমেছে। এখন চলে যাব। জানি না ঘর ঠিক আছে কিনা।’

৪০০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আশ্রিতদের সচেতন করা, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কাজে তৎপর ছিল।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘মাইকিং করা, ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টারে থাকা মানুষগুলোকে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়াসহ আমরা বিভিন্ন কাজে সব সময় ছিলাম। এখন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোনো ক্ষতি হলে সেখানেও আমরা কাজ করব। ইতিমধ্যে ভেঙে পড়া গাছ সরানো হচ্ছে।

সারাদেশ-এর আরও খবর