ওয়াগনারের বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বের দুর্বলতা: যুক্তরাষ্ট্র

  বিশেষ প্রতিনিধি    25-06-2023    103
ওয়াগনারের বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বের দুর্বলতা: যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্তৃত্বের ওপর চ্যালেঞ্জ ছিল। এ বিদ্রোহ রুশ প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্বের দুর্বলতা সামনে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রোববার (২৫ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের টক শো ‘ফেস দ্য নেশন’–এ অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন।

তিনি বলেন, ওয়াগনারের এ বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বের ফাটল বা দুর্বলতা তুলে ধরেছে। তবে ওয়াগনার গ্রুপের যেসব সদস্য গতকাল বিদ্রোহ করেছিলেন, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

‘পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত তার নিজের দেশেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগেও এই পুতিন কিয়েভের দখল নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন, ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাকে নিজের রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল ভাগনার গ্রুপ। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট সরকারের পক্ষে ভাড়ায় নিয়োজিত রয়েছেন এই বাহিনীর সদস্যরা। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে, সে সময় ওই সামরিক তৎপরতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ভাগনার গ্রুপ।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর আবার এই যুদ্ধে ভাড়াটে ওই বাহিনীকে কাজে লাগান পুতিন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত এলাকায় ইউক্রেন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল তারা।

শনিবার (২৪ জুন) সকালে হঠাৎ ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ভেতর ঢুকে একাধিক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়াগনার যোদ্ধারা। গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের হুমকি দেন। তার বাহিনীর একটি অংশ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করে।

এ ঘটনাকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ উল্লেখ করে বিদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও সহিংসতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ১১ ঘণ্টার উত্তেজনার পর পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সংকটের সমাধান হয়।

ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতার পর প্রিগোজিন তার যোদ্ধাদের মস্কোর দিকে যাত্রা বাদ দিয়ে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি নিজেও বেলারুশে যেতে রাজি হন। এরই মধ্যে ভাড়াটে এ বাহিনীর সৈন্যরা রোস্তভ-অন-ডনসহ অন্যান্য শহর ত্যাগ করেছেন।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক-এর আরও খবর