কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য

  বিশেষ প্রতিনিধি    19-12-2023    85
কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কয়েকটি পত্রিকা উপরিউক্ত বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে যা অসত্য, বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের ব্যাংকিং খাত তথা অর্থনীতি অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদটি বাস্তবতা বিবর্জিত ও অশুভ চক্রান্তের নগ্ন বহিঃপ্রকাশমাত্র।

প্রতিবেদনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে: এ প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য হলো, এ পর্যন্ত ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা ও ২৩৭টি উপশাখায় কোন চেক বাউন্স হয়নি। এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, এটিএম-সিআরএম এবং পিওএস মেশিন কোন লেনদেন ডিক্লাইন হয়নি। দেশে বিদেশে ব্যাংকের কোন কার্ডের লেনদেন এবং অনলাইন ট্রানজেকশনেও কোন সমস্যা নেই ।

৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এ যেখানে ব্যাংকের আমানত ছিলো ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২ শত কোটি টাকা যা ৩০ জুন ২০২৩ এ ছিলো ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এবং বর্তমানে ব্যাংকের আমানত দাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২২ এর তুলনায় আমানত বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। আমানতের এই পরিমাণ দেশের সরকারী, বেসরকারী সকল ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকটতো নাই-ই বরং দেশে বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ২ কোটি গ্রাহকের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় ব্যাংক অব্যাহতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।

সংবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পত্র প্রেরণের যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সর্বৈবরূপে মিথ্যা ও সত্যের অপলাপমাত্র। বরং দেশের তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল বিধিবদ্ধ নিয়ম মেনে ইসলামী ব্যাংক তার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা মনে করি, একটি অশুভ চক্র আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধ্বংসের লক্ষ্যে এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করছে। আমরা ব্যাংকের সকল গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ীকে অবহিত করতে চাই যে, ব্যাংকে সবার আমানতসহ সকল স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এ ধরণের মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি।

অর্থ-বাণিজ্য-এর আরও খবর