বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করার পর আজ সোমবার থেকে ভারমুক্ত হলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বঙ্গভবন ছেড়ে সস্ত্রীক উঠেছেন রাজধানীর নিকুঞ্জের ‘প্রেসিডেন্ট লজে’। এদিন বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর পরই আবদুল হামিদকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম।
সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদায়কালে ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ও বিউগলের করুণ সুর বাজিয়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। এর পর তার গাড়ি বহরের যাত্রা শুরু হয় নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের উদ্দেশে। এ সময় তাকে এসকর্ট দেয় পুলিশের অশ্বারোহী দল।
দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে বঙ্গভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। বলেন, এ বিদায় আনন্দের।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আপনারা শুনেছেন, অনেক সময় আমি বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।
এ সময় তিনি বলেন, ঘরে বসে লেখালেখি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে সক্রিয় রাজনীতি আর করবেন না বলে জানান তিনি।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি পদে দুই মেয়াদে নির্বাচিত করেছে। আবার রাজনীতি করলে এ দেশের মানুষকে হেয় করা হবে। সেটা আমি করব না।
তিনি আরও বলেন, আমি সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষের বাইরে কোনো চিন্তা ছিল না। কোনো দিন থাকবেও না। আমি দেশের সব রাজনীতিবিদদেরও এ কথাই বলব, এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে যেন তারা রাজনীতি করেন। তাহলে রাজনীতি আরও অনেক সুন্দর হবে। দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আমি এটি আশা করি।
আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন, এটা সারা জাতির প্রত্যাশা, আমারও প্রত্যাশা।
সর্বোচ্চ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী আবদুল হামিদকে নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে থেকেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাইরের মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়। বর্ষিয়ান এ রাজনীতিক এখন থেকে সেখানেই অবস্থান করবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী এবং ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ। এর পর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি।
যে কারণে বড় আনন্দিত বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করার পর আজ সোমবার থেকে ভারমুক্ত হলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বঙ্গভবন ছেড়ে সস্ত্রীক উঠেছেন রাজধানীর নিকুঞ্জের ‘প্রেসিডেন্ট লজে’। এদিন বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর পরই আবদুল হামিদকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম।
সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদায়কালে ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ও বিউগলের করুণ সুর বাজিয়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। এর পর তার গাড়ি বহরের যাত্রা শুরু হয় নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের উদ্দেশে। এ সময় তাকে এসকর্ট দেয় পুলিশের অশ্বারোহী দল।
দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে বঙ্গভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। বলেন, এ বিদায় আনন্দের।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আপনারা শুনেছেন, অনেক সময় আমি বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।
এ সময় তিনি বলেন, ঘরে বসে লেখালেখি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে সক্রিয় রাজনীতি আর করবেন না বলে জানান তিনি।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ দেশের মানুষ আমাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি পদে দুই মেয়াদে নির্বাচিত করেছে। আবার রাজনীতি করলে এ দেশের মানুষকে হেয় করা হবে। সেটা আমি করব না।
তিনি আরও বলেন, আমি সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষের বাইরে কোনো চিন্তা ছিল না। কোনো দিন থাকবেও না। আমি দেশের সব রাজনীতিবিদদেরও এ কথাই বলব, এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে যেন তারা রাজনীতি করেন। তাহলে রাজনীতি আরও অনেক সুন্দর হবে। দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আমি এটি আশা করি।
আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন, এটা সারা জাতির প্রত্যাশা, আমারও প্রত্যাশা।
সর্বোচ্চ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী আবদুল হামিদকে নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে থেকেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাইরের মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়। বর্ষিয়ান এ রাজনীতিক এখন থেকে সেখানেই অবস্থান করবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী এবং ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ। এর পর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: April 25, 2024, 12:33 pm