পৃথীবির আদী মানব বসতির পীঠস্থান ভারত বর্ষ। সু প্রাচীন কাল হতে এখানে মানুষের বসতি। জনপদ ও মানব বসতি গড়ার উপযোগী সকল বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ এই ভারত বর্ষ। নানান নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পীঠস্থান এই ভারতবর্ষ। বিশ্বের সকল অঞ্চলের সকল আবহাওয়া এই ভারতীয় জনপদে পাওয়া যায়। কোথাও আদ্র, কোথাও বরফাচ্ছাদিত,
কোথাও বৃষ্টি বহুল কোথাও প্রখর খরতাপ। হাজার ও নদী নালা খাল বিল আর বৈচিত্র্যময় প্রাণীর আবাস স্হল ভারত বর্ষ। প্রাচীন কাল থেকেই এই ভারত বর্ষের সম্পদের প্রতি আকর্ষন ছিলো নানা জাতী ও গোষ্টির। কেউ লুটের উদ্দ্যেশ্য, কেউ বসতির লক্ষ্যে,কেউ সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য, কেউ বানিজ্য করার জন্য এই জনপদে এসেছে। কেউ লুট করে স্বদেশে ফিরে গেছে, কেউ এই জনপদের মায়ায় পড়ে বসতি গড়েছে এখানকার কোন রমনী বাহুডোরে বাঁধা পড়ে।
বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরা বৃটিশ লুটেরা রানীর মুকুটে শোভাবর্ধন করেছে আবার এখানকার মাটি ও মানুষের আত্বীয় হয়ে যাওয়া শাহাজাহানের অমর প্রেমের কীর্তি তাজমহল ভারতের গর্ব হয়ে বিরাজ করছে। অশোকস্তম্ভ সম্রাট অশোকের কীর্তির পদ চিন্হ উদাহরন হয়ে আছে বছরের পর বছর। নানান চড়াই উত্রাই এর পর এই ভারতবর্ষ আজ তিন টি রাজনৈতিক মানচিত্রের তিন টি
স্বাধীন দেশ। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মুলত: রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গীর চরম প্রকাশ। ইংরেজ শাষনের পূর্বে এ ভারত ভুখন্ড মুসলিম নৃপতিগণ শাষন করেছেন প্রায় একহাজার বছর। মোসলমান এদেশ কে নিজের দেশ মনে করে এখানে থিতূ হয়েছেন।
ধন সম্পদ লুট করে নিজ দেশে চলে গেছেন এমন নৃপতি নাই বললেই চলে। ভারত কে সাঁজিছেন মোসলমানরাই। দীর্ঘদিন শাষন করার ফলে এক পর্যায়ে শাষনদন্ডের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইংরেজ বানিজ্য কোম্পানি ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাষনদন্ড হাতিয়ে নে, এতে অবশ্যই
প্রতিবেশি হিন্দু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা নিদারুন সহযোগীতা করেছেন। তারা মুসলিম শাষনে নিজেদের হয়তো বঞ্চিত মনে করেছেন। কিন্তু মোসলমানদের হাত থেকে ক্ষমতা নেয়ার মতো নেতৃত্ব দিতে না পারলে ও সাত সমুদ্র তের নদী পার বৃটিশ বেনিয়াদের কে নিজের দেশ দখলে চমৎকার
সহযোগীতা করেছেন।
ইতিহাস তার স্বাক্ষী, ফলে২০০ বছর গোলামী জিন্জির পরে ছিলো এই ভারত বর্ষ। উপনেশিক শাষন শোষনের যাঁতা কলে নিষ্পেষিত হয়ে এক পর্যায়ে হিন্দু ও মোসলমান উভয় পক্ষ স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহনের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। ১৯৪৭ সালে এক তিক্ত অভিজ্ঞতার
মধ্য সাম্প্রদায়িক বিভক্ত চিন্তার ফসল ভারত ও পাকিস্হান নামের দুটি রাষ্ট। সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ বেনিয়া গোষ্ঠীর ডিভাইড এন্ড রোল পলিসি উপমহাদেশ তথা ভারতবর্ষে প্রকট সাম্প্রদায়িক দুষ্টমনোবৃত্তির জন্ম দিয়েছে যার খারপ ফল আজো সাধারন ভারত বর্ষের মানুষ ভোগ করছে।
দিন দিন আরো প্রকট আকার ধারন করছে। ভারত ও পাকিস্হান রাষ্ট দুটি একে অপর কে ঘায়েল করার জন্য তাক করে রেখেছে পারমানবিক অস্ত্র।
১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্হান ভেঙ্গে বাংলাদেশ নামক আরেক টি রাষ্ট তৈরী হয়েছে। পাকিস্হানের সাথে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীতার রেশ ধরেই আজকের বাংলাদেশর জন্ম, এই কথা সর্বজনবিদিত। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদীদের আন্দোলন আর স্বাধীনতা লাভের আখাংকার
সাথে ভারত তার গোপন অভিলাষ পাকিস্হান কে দূর্বল করার মানষে যুক্ত হওয়ায় পাকিস্হান ভেঙ্গে যায়। আমাদের আলোচনার বিষয় যেহেতু বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক বিষয়ক তাই পাকিস্হানের সাথে কি হলো, না হলো তা আমাদের আলোচনায় আনবো না, যদি ও পাকিস্হান
প্রাসঙ্গিক,কারন পাকিস্হানের ধারাহিকতার ই আজকের বাংলাদেশ।
এ কথা বহুল প্রচলিত যে পাকিস্হানি শাষক গোষ্টি কতৃক চরম অবহেলা, অর্থনৈতিক বৈষম্য আর শোষন বঞ্চনার কারনে বাঙ্গালী জাতীয়াবাদী আন্দোলন গড়ে উঠে এবং তা এক পর্যায়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে রুপ লাভ করে। বাঙ্গালীদের প্রতি এ ধরনের বৈষম্য ভারত কে ব্যাথিত করে
তারা পাকিস্হানিদের আচরন কে অন্যায় মনে করে, এ জন্য বাংঙ্গালীদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করে স্বাধীন হতে সহায়তা করে। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বোভৌম একটি রাষ্ট। পাকিস্হানের সাথে আর যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই। ভারতের সহায়তার উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে
আমরা এভাবেই ভাবতে চাই। তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দ্যেশ্য যাই থাকুক। এ ব্যাপারে বিস্তর কথা আছে।
এই স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ন্যাচারালি সৌহার্দ পূর্ণ, প্রীতিকর, ন্যায্য ও সমান মর্যদার হওয়া উচিৎ। এমন সম্পর্ক ই বাংলাদেশ প্রবল ভাবে আশা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন সহায়তাকারী বন্ধু দেশের সাথে সম্পর্ক ভালো হওয়াই কাম্য যেখানে বন্ধু দেশ টি
প্রতিবেশি দেশ ও বটে। প্রতিবেশির সাথে মিলে মিশে চলতে পারলে নিরাপদ, নিরুপদ্রব ও শান্তীতে থাকা যায়। প্রয়োজনে একে অপরের কল্যানে, বিপদে আপদে সহযোগীতা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হলে ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়তাকারী দেশ টি বন্ধু রাষ্ট হিসাবে, প্রতিবেশি রাষ্ট হিসাবে ভালো বন্ধু হতে পারেনি নানান কারনে বা বাংলাদেশ ও ভারতকে ভালো বন্ধু হওয়ার মতো সুযোগ তৈরী করে দিতে পারেনি। আন্ত রাষ্টিয় সম্পর্ক দু ধরনের
হতে পারে বহুপাক্ষিক ও দ্বীপাক্ষিক। এ দুই ধরনের সম্পর্কের কোনটাই ভারতের সাথে গড়ে উঠেনি গত পঞ্চাশ বছরে। এ জন্য দায়ী উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। বহু পাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হতে পারতো সার্কের মাধ্যমে। ভারত ও পাকিস্হানের পারস্পারিক বৈরী সম্পর্ক সার্কের অপমৃত্যু
ঘটিয়েছে। সার্কের আওতায় দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মিমাংসা মিটানোর এজেন্ডা অন্তর্ভূক্ত না করতে দেয়ার জন্য ভারত দায়ী। ভারতের নিকটতম প্রতিবেশি দেশ সমুহের সাথে নানা সমস্যা বিদ্যমান এ সমস্যা মিটানোয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তেমন ফলপ্রসূ ফল বেরিয়ে আসে না। সার্কের আওতায়
এসকল সমস্যা মিটানোর ছোট ও দূর্বল রাষ্ট সমুহ কিছুটা সুবিধা আদায় করতে পারতো। ভারত দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মিটানো জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে একক ভাবে আলোচনা করতে চায়। এটা বৃহত ভারতের মানসিক ক্ষুদ্রতা। ভারতের স্বার্থের অনুকুলে না থাকলে দ্বিপাক্ষিক কোনো আলোচনাই
ফলপ্রসূ হয়না। দৃীর্ঘ অচলাবস্থা তৈরী হয়। সকল প্রতিবেশির সাথে একই অবস্হা বিরাজমান। বাংলাদেশর সাথে ভারতের সম্পর্ক নিন্মমুখি হওয়ার ইতিহাস স্বাধীনতার আগে একরকম, স্বাধীনতার পরে আরেক রকম।
আমাদের আলোচনার বিষয় যেহেতু সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ নির্ধারণ করেছি তাই আলোচনার গতি বিষয়বস্তুুতে সীমাবদ্ধ রাখবো।
১। ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের স্বাধীনতা, মর্যদা, ন্যায্যতা , সার্বোভৌমত্ব সমান হারে মুল্যায়ন করতে হবে।
২। বৃহত রাষ্টের অহমিকা ভারতকে ত্যাগ করতে হবে, বাংলাদেশ কেও ভারতের মতো বৃহত রাষ্টের সন্মান ও মর্যদা দিতে হবে।
৩। ভারতের জন সংখ্যার বৃহত অংশ হিন্দু। জনগোষ্টির বৃহত অংশের মত, চাওয়া, পাওয়াকে মান্য করে দেশ পরিচালনা করতে হয় বাংলাদেশ কে তা বুঝতে হবে। ঠিক তদরুফ বাংলাদেশের জন সংখ্যার বৃহত অংশ মুসলিম এখানকার সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের চাওয়া ও পাওয়া কে সন্মান করতে।
ঐতিহাসিক ভাবে উভয়দেশ কে মানতে হবে ভারত বিভক্তির আসল কারন ই হলো হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িক ভেদ বিবেধ, এটা উপেক্ষা করার কোন জো নেই।
৪। উভয় দেশের সংখ্যা লঘিষ্ঠ জন গনের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, নারী, শিশুর বেডে উঠার পথে যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহনে দৃশ্যমান চুক্তি করা এবং টাস্ক ফোর্স গঠন করা।
৫। যে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত যাতে কোন ভাবেই রাষ্টীয় উস্কানিতে বৃদ্ধি না উভয় দেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভাবে ব্যবহার করার ব্যবস্হা করতে এবং ধর্মীয় নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে এ কাজে নিয়োগ করতে হবে।
৬। উভয়দেশ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ে ধর্মীয় চিন্তা চেতনাকে মাথায় রেখে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এধরনের সাংস্কৃতিক বিনিময় পরিচালনা করতে হবে।
৭। সীমান্ত সংঘাত নিরসনে সার্বোভৌমত্বের প্রশ্নে কেউ আপোস করার প্রয়োজন নেই, আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশন অনুযায়ী মিমাংসা করতে হবে সকল সীমান্ত কেন্দ্রীক সমস্যা। মাদক ও মানব প্রাচার বন্ধে উভয়দেশ জিরো টলারেন্স এ একমত হবে।
৮। আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ কোন দেশ করবে না দৃঢ অংঙ্গীকার নয় শুধু বিশ্বাসযোগ্য ব্যবহার ও আচরন করতে হবে।
৯। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্য ঘাটতি ব্যাপক। ভারত বিশাল দেশ হওয়ায় আভ্যন্তরিন উৎপাদন অনেক বেশি। রপ্তানী যোগ্য পন্য অনেক রয়েছে। বাংলাদেশ ছোট দেশ আভ্যন্তরিন উৎপাদন কম বিধায় নিকট প্রতিবেশি হিসাবে আমদামী খরচ কম ও যাতায়াত সহজ হওয়ায় ভারতে থেকে আমদানী করা হয় বেশী। ফলে আমদানী ও রফতানীতে ব্যাপক প্রার্থক্য রয়েছে। এতে বাংলাদেশের তেমন কিছু করার নাই। ভারত কে অবশ্যই তাদের রপ্তানী নীতি বাংলাদেশের জন্য সহজ আম্তরীক করতে হবে। হঠাত করে নিত্য পন্য রপ্তানী বন্ধের নোটিশ করা ভারতের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশ রপ্তানীর করতে এমন পন্য যা ভারতের বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে,(বিশেষ করে সীমান্ত প্রদেশ সমুহে) সেখানে অতিরিক্ত শল্ক আরোপ ও এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ বন্ধ করতে হবে।
১০। ট্রানজিট নয় ট্রান্সশিপম্যান্ট চুক্তি করা দরকার এতে করে নিরাপত্বা ঝুকি কমবে। উভয় দেশের পরিবহন সেক্টর লাভবান হবে।
১১। অবিলম্বে ফারাক্কা বাঁধের ক্ষতি হতে বাংলাদেশ কে বাচাঁতে পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে কার্যকর ও গ্রহন যোগ্য চুক্তি করতেই হবে।
১২। তিস্তা ব্যারেজ ও তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি করতে হবে। আন্তনদী তে বাঁধ দিতে হলে বাংলাদেশের জলবায়ু ও জলজ প্রানী ও পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় ব্যবস্হা আন্তর্জাতিক নিয়ম কনভেনশন কে মান্য করতে হবে। বিশেষ করে ভারত এই নিয়ম নীতি পালনের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম করে।
১৩। ভারত বিশাল দেশ হওয়ায় প্রচুর প্রর্যটন স্পট রয়েছে, তাছাড়া ভারতের কোন কোন প্রদেশ চিকিৎসা ব্যবস্হায় প্রভুত উন্নয়ন সাধন করেছে। ফলে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক ভারতে যায়। তীর্থ যাত্রী ও যায় প্রচুর। সেখানে প্রচুর টাকা খরচ করে যা ভারতের জাতীয় আয়ে বিরাট অবদান রাখে। ভারতকে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও হয়রানী হতে নিস্তার দিতে বিষেষ ব্যাবস্হা করা উচিত। আবার অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরি করে বিনা ভিসায়। এরা যাতে নিয়মতান্ত্রীক পথে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে কাজ করতে পারে উভয় দেশ কে প্রদক্ষেপ নিতে হবে।
১৪। বঙ্গোপসাগরে ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এটা সহজ হতো যদি ভারত বাংলাদেশ কে তার ন্যায়ানুগ আচরন দেয়ে বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারতো।
১৫। সামরীক ক্ষেত্রে ভারত এশিয়া অঞ্চলে অবশ্যই একটা শক্তি কিন্তু চীন ও পাকিস্হান তার পাশা পাশি চলছে প্রতিদন্ধি ও বটে। ভারত বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান এসব দেশ কে তার পাশে পেতে হলে অনেক উদারনীতি গ্রহন করতে হবে। সেটা ভারতের ঘাটতি রয়েছে। নিকট প্রতিবেশি সবাই ভারতের উপর ক্ষুব্ধ।
উল্লেখিত বিষয় গুলো সকলেরই জানা বিষয়। এ প্রবন্ধে আমরা ভারতে দোষ তুলে ধরতে চাইনি, ফলে বিগত দিন গুলোতে ভারত কেমন আচরন করেছে তা আনা হয়নি। কিম্তু এটাতো সত্য ভারতের আচরনে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। এটা ভারত বাংলাদেশের কারো জন্যই সুখকর নয়।
ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ বন্ধু হিসাবে পেতে চায়, প্রভু, বড়ভাই, নীপিড়ক দাদা হিসাবে নয়। প্রতিবেশি পাল্টানো যায় না। সৎ প্রতিবেশি কাম্য। ভারত বাংলাদেশর সম্পর্ক বন্ধুত্বের ছায়ায় আবরিত হোক।