কক্সবাজারে পর্যটকদের বর্জ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সংসদীয় কমিটি

  বিশেষ প্রতিনিধি    29-08-2022    171
কক্সবাজারে পর্যটকদের বর্জ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সংসদীয় কমিটি

বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের যাওয়া পর্যটকদের বর্জ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাজার হাজার পর্যটক সেখানে যাচ্ছেন, সেখানে বর্জ্যগুলো যাচ্ছে কোথায়? এগুলো তো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ এখনো সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে ময়লা রাখার কোনো জায়গা (এসটিপি) গড়ে ওঠেনি। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, আনোয়ার হোসেন খান এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন। বৈঠকে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, মানুষের বর্জ্য নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। হাজার হাজার পর্যটক সেখানে যাচ্ছে, বর্জ্যগুলো যাচ্ছে কোথায়? এগুলো তো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ এখনো তো কেন্দ্রীয়ভাবে সেখানে ময়লা রাখার স্থান (এসটিপি) গড়ে ওঠেনি। তাই কক্সবাজারে সেন্ট্রাল এসটিপি করা জরুনি। সেজন্য এখন থেকেই হোটেল মোটেল নির্মাণের প্ল্যান পাস করার সময় অবশ্যই এসটিপি নির্মাণের বাধ্যবাধকতা থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণ করার প্রস্তাব রাখা হয়। কমিটি সূত্র জানায়, আগের বৈঠকে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটনকেন্দ্র। এ পর্যটনকেন্দ্রে সর্বপ্রথম তার পিতা ১৯৫৮ সালে একটি হোটেল নির্মাণ করেন। এটা ছিল দেশের সর্বপ্রথম প্রাইভেট হোটেল। এরপর পর্যটন করপোরেশন কিছু হোটেল-মোটেল নির্মাণ করে। কক্সবাজারে পর্যটক এবং পর্যটন সম্পর্কে আমার থেকে ভালো ধারণা কারও নেই। তখন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং এর আশপাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। এখন অনেক বড় বড় ভবন, হোটেল নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু সমুদ্র সৈকত ও এর পরিবেশ আগের মতো আর সুন্দর নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারে অনেক বড় বড় কর্মকান্ড হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠছে এবং বেপজা গড়ে উঠছে। সোনাদিয়া একটি সুন্দর দ্বীপ, সেখানে শুটকি শুকানোর স্থান একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হতে পারে। ওই সব স্থানে ট্যুরিস্ট জোন করা গেলে পর্যটনশিল্প অনেক বিকশিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন আছে, এরমধ্যে কক্সবাজারকে নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। সেজন্য তিনি কক্সবাজারে বিশাল বড় আকৃতির রানওয়ে গড়ে তুলতে যাচ্ছেন, যেখানে সব ধরনের বিমান ওঠা-নামা করতে পারবে। এদিকে বৈঠকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সংক্রান্ত সার্কুলারসমূহ একত্রিত করে খসড়া নীতিমালা তৈরি করার লক্ষ্যে কমিটি সদস্য তানভীর ইমামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটা সাব-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে কক্সবাজার ও সিলেট বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পর্যটন-এর আরও খবর