সৈকতে ঈদ আনন্দ

  বিশেষ প্রতিনিধি    01-07-2023    92
সৈকতে ঈদ আনন্দ

ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজারো পর্যটকে মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা সমুদ্রসৈকত ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরছেন। পর্যটন নগরীতে বেড়াতে আসা এসব ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঈদের আগে তেমন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল না কক্সবাজারে। কিন্তু ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক আসতে শুরু করে। শুক্রবার (৩০ জুন) কক্সবাজারে ১২ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক এসেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার। এবার ঈদে আগত পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের কথাও জানিয়েছেন এই পর্যটন ব্যবসায়ী।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার থেকে প্রচুর পর্যটক আসবে এবং তাদের ব্যবসাও ভালো হবে।

সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে কথা হয় ঢাকা ডেমরার তাহসিন হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ঈদে অফিস থেকে যে কদিন ছুটি পেলাম তা কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এলাম। দুয়েকদিন থাকবো ঘুরবো তারপর চলে যাবো। পরিবারের সবার সঙ্গে সৈকতে বেড়াতে পেরে ভালো লাগছে।

কুমিল্লা থেকে আসা শাহাদাত হোসেন বলেন, মনে করছিলাম পর্যটকে ভরপুর থাকবে কক্সবাজার সৈকত। কিন্তু এসে দেখি তেমন বেশি নেই। তবে পর্যটক কম বলে সৈকতে চলাফেরা করতে সুবিধা হচ্ছে।

সমুদ্রসৈকত ছাড়াও ইনানী হিমছড়িসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে বেড়াচ্ছে পর্যটকরা। তবে সৈকতের সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি দেখা যায়।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, শনিবার থেকে বুকিং দেওয়া আরো ১৫ হাজারের মতো পর্যটক কক্সবাজারে আসবে। পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, কক্সবাজারে আগে থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবগুলো পর্যটন কেন্দ্রে আমাদের সদস্যরা রয়েছেন। সৈকতে টহল জোরদার রয়েছে। পর্যটকদের সেবাদানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সার্বক্ষণিক তৎপরতা রয়েছে।

পর্যটন-এর আরও খবর