শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। সেমিফাইনালের স্বপ্নটা তখনো ভালোভাবেই টিকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নবম ওভারের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা চার মেরেছে কেবল দুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের বোলিং লাইনআপের ওপর ভরসা করতেই পারত। অ্যান্টিগার মাঠে তখনো চলছে ক্যালিপসো সুরের মুর্ছনা। উইন্ডিজরা হারবে এমন কিছু তখনও বিশ্বাস করতে চাননি গ্যালারিতে থাকা হাজার দশেকের বেশি সমর্থকরা।
ওবেদ ম্যাককয় এলেন গুরুত্বপূর্ণ ওভারটা করতে। প্রথম বলেই মার্কো জানসেনের ছক্কা। তিন উইকেটের জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এক মুহূর্তেই স্তব্ধ অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১২৩ রানের টার্গেট ৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেল প্রোটিয়ারা।
অথচ ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল অনেকটা আগেই। হেনরিখ ক্লাসেন ১০ বলে ২২ রান করে প্রোটিয়াদের এগিয়ে দিয়েছিলেন অনেকটা। কিন্তু ডেভিড মিলার আজ ব্যর্থ হলেন পুরোদমে। ১১ বলে ৪ রান করে রস্টন চেজের বলে ফিরতে হলো তাকে। এরপর থেকেই ডট বল খেলতে হয়েছে প্রোটিয়াদের।
৪২ বলে ৩২ রান দরকার ছিল। সেটাই পরে নেমে আসে ১২ বলে ১৩ রানের সমীকরণে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে কাগিসো রাবাদা চার মারলে খানিকটা সহজ হয়ে আসে লক্ষ্য।
এর আগের পর্বে যদিও বল হাতে দাপট দেখিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরাই। বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে টার্গেট নেমে আসে ১২৩ রানে। সেটা পার করা খুব একটা সহজ ছিল না। বৃষ্টি নামার আগেই আন্দ্রে রাসেল দুই উইকেট তুলে নিয়ে কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলেন। বৃষ্টি শেষে প্রথম আঘাত আসে আলঝারি জোসেফের কাছ থেকে। দলীয় ৩৫ রানে অধিনায়ক মার্করামকে ফেরান এই পেসার।
হেনরিখ ক্লাসেন এসেই ঝড় তোলেন ক্রিজে। তার ওই ছোট ক্যামিওটাই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয় এই ম্যাচে। ১০ বলে ২২ রান করে ক্লাসেন ফেরার পর কেউই থিতু হতে পারেননি। তবে ট্রিস্টান স্টাবস স্ট্রাইক রোটেট করে ঠিক ব্যাটে-বলে ভারসাম্য ধরে রেখেছিলেন। স্টাবস আউট হলে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ধরে রেখেছিলেন মার্কো জানসেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকেই আসে উইনিং শট।
এর আগে রস্টন চেজ আর কাইল মায়ার্সের ৮১ রানের জুটিতে ভর করে ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ রানে দুই উইকেট হারানো দলটিকে পথ দেখিয়েছেন দুজনে। যদিও শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্যাপক চাপে পড়তে হয় তাদের। ৮৬ থেকে ৯৭ যেতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। আন্দ্রে রাসেল। রভম্যান পাওয়েল কিংবা শেরফেইন রাদারফোর্ডের কেউই দলকে টানতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তাবরাইজ শামসি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এটাই শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে ধরা দেয়।
অ্যান্টিগায় নীরবতা নামিয়ে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। সেমিফাইনালের স্বপ্নটা তখনো ভালোভাবেই টিকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নবম ওভারের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা চার মেরেছে কেবল দুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের বোলিং লাইনআপের ওপর ভরসা করতেই পারত। অ্যান্টিগার মাঠে তখনো চলছে ক্যালিপসো সুরের মুর্ছনা। উইন্ডিজরা হারবে এমন কিছু তখনও বিশ্বাস করতে চাননি গ্যালারিতে থাকা হাজার দশেকের বেশি সমর্থকরা।
ওবেদ ম্যাককয় এলেন গুরুত্বপূর্ণ ওভারটা করতে। প্রথম বলেই মার্কো জানসেনের ছক্কা। তিন উইকেটের জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এক মুহূর্তেই স্তব্ধ অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১২৩ রানের টার্গেট ৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেল প্রোটিয়ারা।
অথচ ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল অনেকটা আগেই। হেনরিখ ক্লাসেন ১০ বলে ২২ রান করে প্রোটিয়াদের এগিয়ে দিয়েছিলেন অনেকটা। কিন্তু ডেভিড মিলার আজ ব্যর্থ হলেন পুরোদমে। ১১ বলে ৪ রান করে রস্টন চেজের বলে ফিরতে হলো তাকে। এরপর থেকেই ডট বল খেলতে হয়েছে প্রোটিয়াদের।
৪২ বলে ৩২ রান দরকার ছিল। সেটাই পরে নেমে আসে ১২ বলে ১৩ রানের সমীকরণে। ১৬তম ওভারের শেষ বলে কাগিসো রাবাদা চার মারলে খানিকটা সহজ হয়ে আসে লক্ষ্য।
এর আগের পর্বে যদিও বল হাতে দাপট দেখিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরাই। বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে টার্গেট নেমে আসে ১২৩ রানে। সেটা পার করা খুব একটা সহজ ছিল না। বৃষ্টি নামার আগেই আন্দ্রে রাসেল দুই উইকেট তুলে নিয়ে কাজটা কঠিন করে ফেলেছিলেন। বৃষ্টি শেষে প্রথম আঘাত আসে আলঝারি জোসেফের কাছ থেকে। দলীয় ৩৫ রানে অধিনায়ক মার্করামকে ফেরান এই পেসার।
হেনরিখ ক্লাসেন এসেই ঝড় তোলেন ক্রিজে। তার ওই ছোট ক্যামিওটাই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয় এই ম্যাচে। ১০ বলে ২২ রান করে ক্লাসেন ফেরার পর কেউই থিতু হতে পারেননি। তবে ট্রিস্টান স্টাবস স্ট্রাইক রোটেট করে ঠিক ব্যাটে-বলে ভারসাম্য ধরে রেখেছিলেন। স্টাবস আউট হলে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ধরে রেখেছিলেন মার্কো জানসেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকেই আসে উইনিং শট।
এর আগে রস্টন চেজ আর কাইল মায়ার্সের ৮১ রানের জুটিতে ভর করে ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ রানে দুই উইকেট হারানো দলটিকে পথ দেখিয়েছেন দুজনে। যদিও শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্যাপক চাপে পড়তে হয় তাদের। ৮৬ থেকে ৯৭ যেতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। আন্দ্রে রাসেল। রভম্যান পাওয়েল কিংবা শেরফেইন রাদারফোর্ডের কেউই দলকে টানতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তাবরাইজ শামসি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এটাই শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে ধরা দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক
তাকছিমুন নাহার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: November 15, 2024, 2:55 am