মিরপুরে ৭ বছর আগের ইতিহাস কি ফিরবে আবার?

  বিশেষ প্রতিনিধি    03-03-2023    240
মিরপুরে ৭ বছর আগের ইতিহাস কি ফিরবে আবার?

ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে লড়াই করে ২১ রানে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৪ রানের জয়ে দাপটে সিরিজে ফিরে এসেছিল মাশরাফির বাংলাদেশ।

এবার বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে ২০৯ রানের ছোট্ট পুঁজি নিয়েও বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ডেভিড মালানের কাছেই হেরে গেছে তামিমের দল। এখন দ্বিতীয় ম্যাচে কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে টাইগাররা?

বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকদের যে অংশটা ইতিহাস, পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাটাঘাঁটি বেশি করেন, যারা সংস্কারবাদী- তারাতো আশায় উন্মুখ। তাদের আশা প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও ছোট পুঁজি নিয়ে জয়ের খুব কাছে যাওয়া বাংলাদেশ শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচেই ইংলিশদের হারিয়ে দেবে।

সেটা আকাশ কুসুম কল্পনা নয়। প্রথম ম্যাচের উইকেট এবং চালচিত্র বলে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ আর গোটা তিরিশেক রান করতে পারলে এ ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো। তার মানে শেরে বাংলার যে পিচে প্রথম ম্যাচ হয়েছে সেটা আসলে ছিল ২৪০ থেকে আড়াইশো রানের পিচ। তারপরও বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রান করে জিততেই ঘাম ছুটে গেছে ইংলিশদের।

জেসন রয় (৪), ফিল সল্ট (১২), জেমস ভিন্স (৬), জস বাটলার (৯), উইল জ্যাক্স (২৬), ক্রিস ওকস (১৪) আর মইন আলির (৭) মত প্রতিষ্ঠিত ও নামী উইলোবাজরাও সাকিব, তাইজুল, মিরাজ ও তাসকিনের বলে খাবি খেয়েছেন।

তারা ৭ জন মিলে করেছেন মোটে ৭৮ রান। ডেভিড মালান তিন নম্বরে নেমে ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে একা দল জিতিয়েছেন। বাংলাদেশের তিন স্পিনার সাকিব, মিরাজ, তাইজুল আর ফাস্টবোলার তাসকিনের বিপক্ষে ইংলিশদের আড়ষ্ট ও অস্বস্তিকর ব্যাটিং দেখে বোঝা গেছে তাদের টর্গেটটা ২৪০ প্লাস হলেই বাংলদেশের জেতার সম্বাবনা বেশি থাকতো।

এখন সবদিনের ম্যাচ পরিস্থিতি তো এক হবে না। উইকেটের চরিত্রও একরকম থাকবে না। তবে শুক্রবারও যদি উইকেটের আচরণ একই রকম থাকে আর যদি বাংলাদেশ আবারো প্রথম ব্যাট করে, তাহলে তামিম বাহিনীর প্রথম ও প্রধান কাজ হবে অন্তত আড়াইশোর আশপাশে পৌঁছানো। তাহলে জয়ের সম্ভাবনা থাকবে। একইভাবে জস বাটলারের দলকেও যদি দু‘শো থেকে ২১০-২২০‘র মধ্যে আটকে রাখা যায়, তাহলেও তামিম বাহিনীর ইংলিশ বধের যথেষ্ঠ সম্ভাবনা থাকবে।

ফাস্ট বোলার তাসকিন (৯-১-২৫-১) আর তিন স্পিনার মিরাজ (১০-২-৩৫-২), সাকিব (১০-০-৪৫-১) ও তাইজুলরা (১০-০-৫৪-৩) বল হাতে নিজেদের কাজটা ঠিকমত করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে, তিন স্পিনার খেলানো ঠিক ছিল। তাদের খেলতে ইংলিশ ব্যাটারদের যথেষ্ঠ কষ্ট হয়েছে।

কাজেই ধরে নেয়া যায়, আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ তিন স্পিনার নিয়েই নামবে। বোলাররা নিজেদের কাজ করেছেন। দল জেতাতে না পারলেও ২০৯ রানের ছোট পুঁজি নিয়ে যতটা ভাল বল করা সম্ভব এবং যেমন সমীহ আদায় সম্ভব সাকিব, তাসকিন, মিরাজ আর তাইজুলরা তা করেছেনও।

কিন্তু শান্ত আর রিয়াদ ছাড়া বাকি ব্যাটাররা কিছুই করতে পারেননি। অধিনায়ক তামিম, লিটন দাস, সাকিব, মুশফিক, আফিফ ও মিরাজের ব্যাট থেকে দল কিছুই পায়নি। তাদের ব্যাটে রান চাই, রান।

মালান যদি একা ১১৪ রান করে দল জেতাতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার কি একজোড়া ফিফটিও উপহার দিতে পারবেন না?

খেলাধুলা-এর আরও খবর