সাফে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরুতেই ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হওয়ায় পরে তা আক্ষেপ হয়েই থেকেছে লাল-সবুজদের। কয়েকবার আক্রমণে গেলেও কুয়েতের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালের প্রথমার্ধটি বাংলাদেশ গোলশূন্য স্কোর লাইন নিয়ে শেষ করেছে। দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ তৈরি করে হতাশ করেছে তারা।
বিরতির পর শুরুতে কুয়েত ফ্রি-কিক ও কর্নার থেকে গোল করার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। ৫৪ মিনিটে বরং চমক দেখানোর চেষ্টা করেছেন রাকিব। কিন্তু তার নেওয়া বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেছে।
৬১ মিনিটে আবারও ত্রাস ছড়ান রাকিব। মোরসালিনের রক্ষণ চেরা পাসে আগের ম্যাচের মতো বাইলাইনের কাছাকাছি গিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু এই উইঙ্গারের শট ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হলে আবারও হতাশ হতে হয় তাদের । ৬৩ মিনিটে কুয়েতের একটি ফ্রি-কিক প্রতিহত করেন জিকো। একটু পর আবারও গোলের চেষ্টা করে কুয়েত । কিন্তু আল রশিদির শট সেভ করেন জিকো।
৬৮ মিনিটে বাংলাদেশ দলে আনতে হয় পরিবর্তন। মিডফিল্ডার জামালের জায়গায় নামেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। চোট পাওয়া জামালকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নেওয়া হয়। ৬৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে আল খালদির প্লেসিং ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে কুয়েতের গোল পাওয়া হয়নি। পরের মিনিটেই কুয়েত গোল পেতে পারতো। কিন্তু আব্দুল্লাহর শট রুখে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার জিকো।
৭২ মিনিটে বাংলাদেশ শিবিরে আসে দুঃসংবাদ। মন্তব্যের জন্য ফিজিও ডেভিড মাগানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
৭৪ মিনিটে কুয়েতের আল রশিদির বক্সের ভিতরে নেওয়া শট জাল কাঁপাতে পারতো। কিন্তু গোলকিপার জিকো আবারও ত্রাতা হয়ে সেটি রুখে দিয়েছেন। দর্শনীয় এক সেভে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন তিনি।
অথচ দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো-ইন থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে রাকিবের নিচু ক্রস বক্সে পেয়েছিলেন মোরসালিন। কিন্তু প্রথম দফায় ফাঁকায় গোলকিপারের গায়ে মেরে প্রথম সুযোগটি নষ্ট করেছেন তিনি। ফিরতি বল দ্বিতীয় দফায় কাছে পেলেও তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারেননি। পুরো ম্যাচে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এই একটি-ই।
৭ মিনিটে কুয়েত তাদের প্রথম সুযোগটি পায়। কর্নার থেকে মুহাইসিনের হেড ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল প্রায় গোললাইন থেকে প্রতিহত করে বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে রেখেছেন। তার পর চাপ বাড়াতে থাকে কুয়েত। বাংলাদেশকে বক্সের মধ্যে ঢুকতেই দিচ্ছিল না। তাই গোলকিপারকে অপ্রস্তুত করার কৌশল নেন রাকিব। ২৮ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গোলকিপার জায়গা থেকে একটু সরে এসে তালুবন্দি করেছেন তা।
২৯ মিনিটে আল রশিদির সরাসরি ক্রস গোলকিপার জিকো হাত উঁচিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। সামনে থেকে ইসা ফয়সালও বিপদমুক্ত করেন বল। তবে রাকিব বার বার ত্রাস ছড়ানো অব্যাহত রাখেন। ৩১ মিনিটে মোরসালিনের বাঁ প্রান্তের ক্রসে রাকিব আবার শট নিতে গেলে এর আগেই ক্লিয়ার করে দেন কুয়েতের ডিফেন্ডার।
৪০ মিনিটে সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিল কুয়েত। বক্সের বাইরে থেকে কুয়েতের আল রশিদির বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শট গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেছেন।
একাদশে ফিরেছেন তাকির কাজী
আজ সেমিফাইনালে একাদশে ফিরেছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। তারিক না থাকায় ভুটান ম্যাচে রহমত মিয়া খেলেছিলেন। আজকে তারিক চলে আসায় রহমতের জায়গা হয়েছে বেঞ্চে। এছাড়া আগের ম্যাচে খেলা ১০ জনই একাদশে রয়েছেন।
আজও সম্ভাব্য ৪-৪-২ ছকে খেলছে বাংলাদেশ। এই ছকে সফলতা আসায় কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে আগের দু’বারের দেখায় বাংলাদেশ জিততে পারেনি। হেরেছে দু’বারই। তবে আজ আরব দেশটির বিপক্ষে জেতার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ মাঠে নামতে যাচ্ছে। জিততে পারলে ২০০৫ সাফের পর আবারও ফাইনালে উঠার সুযোগ পাবে লাল সবুজ দল।
বাংলাদেশ একাদশ:
আনিসুর রহমান জিকো, জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ, মোহাম্মদ হৃদয়, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা ও ঈসা ফয়সাল।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই করছে বাংলাদেশ
সাফে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরুতেই ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হওয়ায় পরে তা আক্ষেপ হয়েই থেকেছে লাল-সবুজদের। কয়েকবার আক্রমণে গেলেও কুয়েতের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালের প্রথমার্ধটি বাংলাদেশ গোলশূন্য স্কোর লাইন নিয়ে শেষ করেছে। দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ তৈরি করে হতাশ করেছে তারা।
বিরতির পর শুরুতে কুয়েত ফ্রি-কিক ও কর্নার থেকে গোল করার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। ৫৪ মিনিটে বরং চমক দেখানোর চেষ্টা করেছেন রাকিব। কিন্তু তার নেওয়া বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেছে।
৬১ মিনিটে আবারও ত্রাস ছড়ান রাকিব। মোরসালিনের রক্ষণ চেরা পাসে আগের ম্যাচের মতো বাইলাইনের কাছাকাছি গিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু এই উইঙ্গারের শট ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হলে আবারও হতাশ হতে হয় তাদের । ৬৩ মিনিটে কুয়েতের একটি ফ্রি-কিক প্রতিহত করেন জিকো। একটু পর আবারও গোলের চেষ্টা করে কুয়েত । কিন্তু আল রশিদির শট সেভ করেন জিকো।
৬৮ মিনিটে বাংলাদেশ দলে আনতে হয় পরিবর্তন। মিডফিল্ডার জামালের জায়গায় নামেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। চোট পাওয়া জামালকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নেওয়া হয়। ৬৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে আল খালদির প্লেসিং ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে কুয়েতের গোল পাওয়া হয়নি। পরের মিনিটেই কুয়েত গোল পেতে পারতো। কিন্তু আব্দুল্লাহর শট রুখে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার জিকো।
৭২ মিনিটে বাংলাদেশ শিবিরে আসে দুঃসংবাদ। মন্তব্যের জন্য ফিজিও ডেভিড মাগানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
৭৪ মিনিটে কুয়েতের আল রশিদির বক্সের ভিতরে নেওয়া শট জাল কাঁপাতে পারতো। কিন্তু গোলকিপার জিকো আবারও ত্রাতা হয়ে সেটি রুখে দিয়েছেন। দর্শনীয় এক সেভে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন তিনি।
অথচ দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো-ইন থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে রাকিবের নিচু ক্রস বক্সে পেয়েছিলেন মোরসালিন। কিন্তু প্রথম দফায় ফাঁকায় গোলকিপারের গায়ে মেরে প্রথম সুযোগটি নষ্ট করেছেন তিনি। ফিরতি বল দ্বিতীয় দফায় কাছে পেলেও তা ঠিকমতো আয়ত্তে নিতে পারেননি। পুরো ম্যাচে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এই একটি-ই।
৭ মিনিটে কুয়েত তাদের প্রথম সুযোগটি পায়। কর্নার থেকে মুহাইসিনের হেড ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল প্রায় গোললাইন থেকে প্রতিহত করে বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে রেখেছেন। তার পর চাপ বাড়াতে থাকে কুয়েত। বাংলাদেশকে বক্সের মধ্যে ঢুকতেই দিচ্ছিল না। তাই গোলকিপারকে অপ্রস্তুত করার কৌশল নেন রাকিব। ২৮ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গোলকিপার জায়গা থেকে একটু সরে এসে তালুবন্দি করেছেন তা।
২৯ মিনিটে আল রশিদির সরাসরি ক্রস গোলকিপার জিকো হাত উঁচিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। সামনে থেকে ইসা ফয়সালও বিপদমুক্ত করেন বল। তবে রাকিব বার বার ত্রাস ছড়ানো অব্যাহত রাখেন। ৩১ মিনিটে মোরসালিনের বাঁ প্রান্তের ক্রসে রাকিব আবার শট নিতে গেলে এর আগেই ক্লিয়ার করে দেন কুয়েতের ডিফেন্ডার।
৪০ মিনিটে সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিল কুয়েত। বক্সের বাইরে থেকে কুয়েতের আল রশিদির বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শট গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেছেন।
একাদশে ফিরেছেন তাকির কাজী
আজ সেমিফাইনালে একাদশে ফিরেছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। তারিক না থাকায় ভুটান ম্যাচে রহমত মিয়া খেলেছিলেন। আজকে তারিক চলে আসায় রহমতের জায়গা হয়েছে বেঞ্চে। এছাড়া আগের ম্যাচে খেলা ১০ জনই একাদশে রয়েছেন।
আজও সম্ভাব্য ৪-৪-২ ছকে খেলছে বাংলাদেশ। এই ছকে সফলতা আসায় কোচ হাভিয়ের কাবরেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে আগের দু’বারের দেখায় বাংলাদেশ জিততে পারেনি। হেরেছে দু’বারই। তবে আজ আরব দেশটির বিপক্ষে জেতার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ মাঠে নামতে যাচ্ছে। জিততে পারলে ২০০৫ সাফের পর আবারও ফাইনালে উঠার সুযোগ পাবে লাল সবুজ দল।
বাংলাদেশ একাদশ:
আনিসুর রহমান জিকো, জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ, মোহাম্মদ হৃদয়, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা ও ঈসা ফয়সাল।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক
তাকছিমুন নাহার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: May 19, 2024, 8:28 am