ট্রেন কক্সবাজারে আসার ক্ষেত্রে কালুরঘাট সেতু বাধা হবে না



  বিশেষ প্রতিনিধি    21-01-2023    192
ট্রেন কক্সবাজারে আসার ক্ষেত্রে কালুরঘাট সেতু বাধা হবে না

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ চালুর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে চট্টগ্রামের পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতু হয়ে ট্রেন কীভাবে কক্সবাজার আসবে তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেন কক্সবাজারে আসার ক্ষেত্রে কালুরঘাট সেতু বাধা হবে না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শ নিয়ে শিগগিরই সেতুটিকে শক্তিশালী করা হবে।

চলতি বছর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথ চালুর ঘোষণায় শ্রমিকদের ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়েছে। সরেজমিনে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ, দৃশ্যমান লোহা-তক্তার গাঁথুনিসহ নানান অবকাঠামো।

পুরনো ‘কালুরঘাট সেতু’ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে বুয়েট স্টাডি করেছে, ছয় মাস সময় নিয়েছে। যেভাবে পরামর্শ দিবে আমরা সেভাবে সেতু শক্তিশালী করবো। তাই কক্সবাজার যাওয়ার জন্য কালুরঘাট সেতু বাধা হবে না।’

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য এই রেলপথ আশীর্বাদ। আর রেলপথ চালু হলে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও সহজ হয়ে যাবে। রেলপথ চালু হলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। বিশেষ করে, ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।’

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের ২১টি স্থান এশিয়ান হাতিসহ বন্যপ্রাণীদের চলাচলের পথ। এই প্রকল্প দেশের যোগাযোগ খাতে মাইলফলক হলেও বন্যপ্রাণী চলাচল ও প্রকৃতি রক্ষার শর্ত অনেক ক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা।

চুনতি অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘রেললাইন হওয়ায় প্রাণীদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। আর পাহাড় কেটে ফেলায় প্রাণীরা সহজে অভয়ারণ্যে যেতে পারবে না। প্রাণীরা জলাধারে পানিও খেতে আসবে না।’

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘জীববৈচিত্র্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরা এই ক্ষতি কমানোর জন্য যাথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমরা সবই ওভারকাম করেছি।

সারাদেশ-এর আরও খবর