বৃষ্টিপ্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর

  বিশেষ প্রতিনিধি    17-04-2023    123
বৃষ্টিপ্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর

গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে বইছে তীব্র তাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ। অতি খরা ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় খাল, বিল, পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে এই অবস্থায় নাভিশ্বাস মানুষের। এরপরও বৃষ্টির দেখা নেই। এই অবস্থায় মুসলমানদের একমাত্র আল্লাহতায়ালাই ভরসা। তাই বৃষ্টিপ্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজের আহ্বান করলেন ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ।

রোববার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘সোমবার সকাল ১০টায় আফতাবনগর এল ব্লক খেলার মাঠে ইস্তিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হবে ইন-শা-আল্লাহ। যাদের সুযোগ আছে, অংশগ্রহণ করি।

গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইস্তিসকার (বৃষ্টিপ্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি।

সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় ইস্তিসকার সালাত আদায়ের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার বাইরে কিছুই হয় না। রোদ-বৃষ্টিও তারই রহমত ও মহান কুদরতের প্রকাশ।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা (বায়ু) মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে (মেঘমালাকে) স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে, তার মধ্য হতে বৃষ্টিধারা নির্গত হয়। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা রুম: ৩৮)

আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন, ‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর আমি এর মাধ্যমে সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, জয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত ও সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য করো, যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য করো। নিশ্চয় এগুলোতে ঈমানদারদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা আনআম: ৯৯)

এখন তীব্র তাপদাহ। পুড়ছে মানুষ ও পশু-পাখি। এমন প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য মুমিনরা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। শস্য ফলানোসহ পশু-পাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, তেমনি তীব্র তাপপ্রবাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন। এহেন পরিস্থিতিতে তারই দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় এই দোয়ার নাম ইস্তিসকা বা সিক্তকরণের দোয়া এবং নামাজের নাম ‘সালাতুল ইস্তিসকা’ বা ‘বৃষ্টি কামনায় নামাজ’।

সারাদেশ-এর আরও খবর