ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনদ্বীপে বাতাসের তীব্রতা ও বৃষ্টি বাড়ছে

  বিশেষ প্রতিনিধি    14-05-2023    70
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনদ্বীপে বাতাসের তীব্রতা ও বৃষ্টি বাড়ছে

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাতাসের তীব্রতা ও বৃষ্টিপাত বেড়েছ সেন্টমার্টিনদ্বীপে। জোয়ার হওয়ায় বেড়েছে ঢেউ। এতে শঙ্কা বাড়ছে দ্বীপের বাসিন্দাদের।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার (১৪ মে) সকালে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার। গতিবেগ অনুযায়ী এর বেশিরভাগ অংশ এবং ঝড়ের কেন্দ্র যাবে উত্তর মিয়ানমারের দিকে। আর বাকিটা পড়বে কক্সবাজার উপকূলে।

সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিনদ্বীপে বাতাসের তীব্রতা ও বৃষ্টি বেড়েছে। উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ। সেন্টমার্টিনে তা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলছে। তবে আমরা খুব ভয়ে আছি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের হাসপাতালসহ হোটেল-মোটেল ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা দ্বীপে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সব মিলিয়ে সেন্টমাটিন-টেকনাফে ৩০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মোখার গতি এখন ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার। যা প্রায় সুপার সাইক্লোনের কাছাকাছি। তবে উপকূলে উঠে আসার পর এর গতি কিছুটা কমে ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার হতে পারে। ফলে এটিকে সুপার সাইক্লোন বলা যাবে না।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ‘ট্রপিক্যাল সাইক্লোন’ বলা হয়। গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে বলা হয় তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তখন সেটিকে হ্যারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।

সারাদেশ-এর আরও খবর