ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার। সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনসহ ৮ উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ঝুঁকিপূর্ণ মুহুর্তে উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হাতে রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ১০৮ টি মেডিকেল টিম। সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩২৩ মেট্টিক টন চাল, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৯৯০ পিস তাবু, এবং ১১৯৮ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী এ কে এম তারিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন আলমগীর, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপি’র উপ—পরিচালক মোঃ হাসানুল আমিন, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ—পরিচালক ফাহমিদা বেগম, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। সন্ধ্যা থেকে গুটি গুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের নিরাপদ দুরত্বে থেকে সৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্ক করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও বীচ কর্মীরা। সেন্ট মার্টিনে আটকা চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার—সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়াবিদ আশরাফুল আলম জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ—দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় প্রস্তুত কক্সবাজার
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার। সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনসহ ৮ উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ঝুঁকিপূর্ণ মুহুর্তে উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হাতে রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ১০৮ টি মেডিকেল টিম। সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩২৩ মেট্টিক টন চাল, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৯৯০ পিস তাবু, এবং ১১৯৮ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী এ কে এম তারিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন আলমগীর, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপি’র উপ—পরিচালক মোঃ হাসানুল আমিন, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ—পরিচালক ফাহমিদা বেগম, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। সন্ধ্যা থেকে গুটি গুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের নিরাপদ দুরত্বে থেকে সৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্ক করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও বীচ কর্মীরা। সেন্ট মার্টিনে আটকা চার শতাধিক পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার—সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়াবিদ আশরাফুল আলম জানান, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ—দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: March 29, 2024, 4:47 pm