রামুতে ধানক্ষেত থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

  বিশেষ প্রতিনিধি    03-09-2022    104
রামুতে ধানক্ষেত থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ার দির্ঘী বড়ডেফা সিকান্দর পোলট্রি ফার্মের সংলগ্ন প্রায় ৮ ফুট পশ্চিম পার্শে ধানক্ষেত থেকে জুয়েল নামে (১৫) বছর বয়সের এক শিশুর মৃতদেহ ২ই সেপ্টেম্বর বিকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশু জুয়েল খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে। শিশুটির কানের বাম পাশে, ডান হাতের কব্জিতে এবং পিঠে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ চৌধুরী, এস আই মোহাম্মদ আমীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পোলট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দরের ১ মেয়ে এবং পুত্রবধূ, ফার্মের এক শ্রমিকসহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছে পুলিশ। রামু থানার এস আই মোহাম্মদ আমীর হোসেন জানান লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় মেম্বার গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি শুনেছি ফার্মের মালিক মায়ানমারের, নিহত শিশু জুয়েল সিকান্দরের পোলট্রি ফার্মে চাকরি করত, শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি করছি। স্থানীয় মেম্বার নছরুল্লাহ জানান ঘটনাস্থল আমার পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড আমি শুনেছি পোলট্রি ফার্মে বিদ্যুতের স্পষ্ট হয় শিশুটির মৃত্যু বরণ করেছে। নিহত শিশু জুয়েলের ভাই রাসেল অভিযোগ করে জানান, সিকান্দরের পোলট্রি ফার্মে আমার চাকরি করে। আমার ভাই জুয়েল রাতে খেলা দেখে আমার চাচা আবু তাহেরের বাড়িতে ঘুমানোর জন্য গেলে পোলট্রি ফার্মের মালিকের ছেলে আমার ভাইকে চাচার বাড়ির থেকে ডেকে আনে। পোলট্রি ফার্মের সবাই মিলে আমার ভাই কে হত্যা করে, আমারা মামলা করব, আসামীদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান রাসেল ও তার পরিবার।

সারাদেশ-এর আরও খবর