বৈশ্বিক সংকটে চাপা পড়ে গেছে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

  বিশেষ প্রতিনিধি    22-01-2023    154
বৈশ্বিক সংকটে চাপা পড়ে গেছে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

বৈশ্বিক রাজনীতির জটিল প্রেক্ষাপটে চাপা পড়ে গেছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ইস্যু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধের ফলে দেশে দেশে অর্থনৈতিক সংকট, পরাশক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইসহ নানা বিষয়ের আড়ালে তলিয়ে গেছে মিয়ারমার থেকে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি। দেশে-বিদেশে কোথাও এ নিয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করার কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। ২০১৭ সালের ঘটনার আগেও বাংলাদেশ আরো ৪ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মাত্র কয়েক মাস পর প্রথমধাপে বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তিও করে, কিন্তু প্রত্যাবাসন এখনো শুরু হয়নি। ২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসন আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ সম্পর্কে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছিল। তারা যাতে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে দেশে ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সব মহল থেকেই।

এর আগে, বাংলাদেশ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার শুধুমাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছে। তবে তালিকাটি পারিবারিকভাবে হওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো তালিকা সম্পূর্ণ নয়।

এ কারণেই প্রায়ই বলা হয়- রোহিঙ্গা ইস্যু একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকট, যার মূলে রয়েছে মিয়ানমার। কাজেই নেপিডোর সহযোগিতা ছাড়া সংকটের সমাধান কল্পনার বাইরে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজ্জা বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে নতুন কোনো আপডেট নেই।

আমরা মিয়ানমারের কাছে যে তালিকা পাঠিয়েছিলাম সেই পর্যন্তই বিষয়টি থেমে আছে। আরো কোনো তথ্য জানতে চাইলে উপর মহলে যোগাযোগ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকটে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা :

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা বলেছেন,ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) সার্থক করতে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা সংকট নিরসন না করে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আইপিএসের সুবিধা নিতে পারে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা : অগ্রাধিকার ইস্যু এবং উদ্বেগ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত আলোচনায় অংশ নেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান।

রোহিঙ্গাদের ওপর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন নিয়ে সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জঙ্গিবাদ, মানব পাচার, মাদক কারবার, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার মতো অপরাধমূলক কার্যক্রমে রোহিঙ্গারা জড়িত থাকলে বাংলাদেশ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস করবে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ পুলিশের সমালোচনা করেছে। ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তিনি আশা করেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তাকারী দেশগুলো তাদের কার্যক্রমের সুরক্ষা দেবে। এরই মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে দাতাদের অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্ব থেকে রোহিঙ্গাদের চাহিদার অর্ধেক অর্থ জোগাড় করতেও বেগ পেতে হয়। এদিকে প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২১ সালে বাংলাদেশ ১২০ কোটির বেশি টাকা রোহিঙ্গাদের পেছনে খরচ করেছে। ২০২২ সালে দাতা দেশগুলোর অর্থায়নেরও সমালোচনা করেন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান বলেন, বিভিন্ন দেশ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ফোরামে (আইপিইএফ) যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এর সদস্য হতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আইপিইএফের যে ভিত্তিগুলো রয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে ভারত আপত্তি জানিয়েছে। এর মানে হচ্ছে, ভিত্তিগুলোর মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধাগুলো বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সংকট অনেক বড়। আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনকে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে এ সংকট সমাধান করার বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সুবিধা নিয়ে সংকট নিরসন করার বিষয়টি বাংলাদেশ বিবেচনা করতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তীব্র হওয়ার পর বাংলাদেশ তা নিরসনে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ প্রচেষ্টা থেকে আমরা কিছু অর্জন করতে পারিনি। একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। সংকট নিরসনে তিনি আরাকান আর্মির সঙ্গে দরকষাকষির পরামর্শ দেন।

ভারত ও চীন দুই দেশেরই জ্বালানি চাহিদা রয়েছে মন্তব্য করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান বলেন, চীন মিয়ানমারকে তার জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে থাকে। একইভাবে মিয়ানমারে ভারতের কালাদান প্রকল্প একটি কৌশলগত প্রকল্প। ভূকৌশলগত কারণে ভারত কখনোই চায় না মিয়ানমার পুরোপুরি চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাক। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান ধরে রাখতে মিয়ানমার ও পাকিস্তানে বিনিয়োগ করছে চীন। ফলে এখানে ভূরাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত ‘টেকটোনিক প্লেট’-এর নড়াচড়া হচ্ছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও মুক্ত দেখতে চায় তাঁর দেশ। রোহিঙ্গা বিষয়ে জাপান তার অবস্থান পরিবর্তন করেনি। এ সংকটের সমাধান ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জরুরি। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে এবং স্বেচ্ছায়।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এরকম পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস করে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পাঁচ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এটি এসেছে।

এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই আইনটি কি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে একটি উপযুক্ত অনুষঙ্গী হবে? ওই অ্যাক্টে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে শুধু সামরিক শাসনের দায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং শরণার্থী জনগণকে মানবিক সহায়তা দানের প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়েছে।

কিন্তু উদ্বেগজনকভাবে উদ্বাস্তু জনগণকে সহায়তা করার জন্য আর্থিক বোঝা একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে; যেখানে বাংলাদেশ এই লোকদের সমর্থন করার জন্য ক্রমবর্ধমান আর্থিক বোঝা টানছে। সবমিলিয়ে এই বার্মা অ্যাক্ট মানবিক কারণে সমর্থন করা রোহিঙ্গা জনগণকে তাদের ন্যায়বিচার অর্জনে সহায়তা করবে না বা বাংলাদেশের চাপ কমাতে পারবে না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসীন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক কথা বলে, আইন পাস করে, মানবাধিকার নিয়ে বলে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কী হবে, তারা কীভাবে ফিরে যাবে, তাদের মানবাধিকারের কী হবে- সে নিয়ে কোনো কথা বলছে না। এ তাদের দ্বিচারিতা।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অনেক দেশের সমর্থনে বাংলাদেশ প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরেছে। কিন্তু মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির ব্যাপারে উদাসীন। এর পেছনে কিছু শক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল থাকতে পারে। এটা স্পষ্ট যে, এখন পর্যন্ত অগ্রগতি দেখে দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়া কাজ করছে না।

উল্লেখ্য, গত মাসে চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, আগের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে। অপরদিকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বেইজিংয়ের পাঠানো বার্তার জবাব দিয়েছে মিয়ানমার।

এ সময় তিনি বলেন, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার প্রতিশ্রæতি দিলেও শুধু চীন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। সীমান্ত স্থিতিশীল করার জন্য বেইজিংয়ের আহ্বানে নেপিডোও সাড়া দিয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নেপিডোতে চীনের মধ্যস্থতায় যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে তুমব্রু সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির হয়েছে।

তুমব্রুতে রোহিঙ্গাদের নতুন আশ্রয় শিবির! :

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানের সময় ঘরবাড়ি হারিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ৪ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। পাঁচ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন তারা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার গোলাগুলি ও আগুনের ঘটনায় শেষ আশ্রয় হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন এই মানুষ। সবকিছু হারিয়ে শূন্যরেখার কাছাকাছি তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এর আশপাশে ঠাঁই নিয়েছে কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবার।

শূন্যরেখা শিবিরে আগুনে ঘর হারিয়ে পরিবার নিয়ে তুমব্রু বাজারে আশ্রয় খুঁজতে আসা আবু নাসের নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারীদের মধ্য আমিও ছিলাম। কিন্তু আগুন দিয়ে আমাদের ঘরবাড়িগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা নিরীহ মানুষ, কোনো পক্ষের না। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, গায়ের পরনের জামা ছাড়া কিছু বের করতে পারেনি। আমার স্ত্রীও অসুস্থ, পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিতে একটি জায়গা খুঁজছি। এর আগের দিন স্থানীয় এক হিন্দু পরিবারের কাছে একদিন আশ্রয় নিয়েছিলাম।

প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নতুন করে তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার অংশে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষ চলে। ওই সংঘর্ষে মিয়ানমার অংশ থেকে মর্টার শেল তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়ে। সেসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টারশেল পড়ায় মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তারা জানায়, ভুলবশত মর্টারশেল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়েছিল।

সারাদেশ-এর আরও খবর