চকরিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম : ১১জনকে আসামী করে মামলা

  বিশেষ প্রতিনিধি    13-02-2023    217
চকরিয়ায় একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম : ১১জনকে আসামী করে মামলা

চকরিয়ায় বাড়িতে বসানো টিউবওয়েল বিক্রেতার পরিচয় সনাক্ত করে দেওয়ায় ক্রেতার দোকানে ঢুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় দোকানীকে বেদড়ক পিটিয়ে দোকানের মালামাল লুটের প্রাক্কালে বাঁধা দিতে এগিয়ে আসলে পরিবারের পাচ নারী-পুরুষকে কুপিয়ে জখম করেছে অভিযুক্ত দুবৃর্ত্তরা।

ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তৎমধ্যে গুরুতর আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষথেকে চকরিয়া থানায় ১১জনকে আসামী করে মামলা দেওয়া হয়েছে।

হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছায়রাখালী এলাকার মৃত জালাল আহমদের পুত্র নুরুল হুদা মানিক (৪৩), তার ভাতিজা রিদুয়ানুল হক রাসেল (২৯), তার ছোট বোন ইরান জন্নাত (২৬), তার স্বামী মো: ইলিয়াস (৩২), তার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৫৮)।

আহতদের পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ছায়রাখালী এলাকার দোকানদার মো: ইলিয়াস কিছুদিন আগে একই এলাকায় নুর হামিদের ছেলে শফিউল কাদের রনি’র কাছ থেকে একটি টিউবওয়েল ক্রয় করেন। পরে সেটি বসতবাড়িতে স্থাপন করেন।

দোকানদার ইলিয়াসের পরিবার সদস্যরা জানান, কিছুদিন পর স্থানীয় অপর একজন ব্যক্তি ইলিয়াসের কাছে জানতে চান টিউবওয়েলটি কার কাছে কিনেছেন। ওইসময় দোকানদার ইলিয়াস কিছুদিন আগে টিউবওয়েলটি শফিউল কাদের রনীর কাছ থেকে কিনেছেন বলে জানান।

সেই ঘটনার জেরধরে অভিযুক্ত শফিউল কাদের রনি ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে নানা ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারী অভিযুক্ত শফিউল কাদের, তার চাচা অলি আহমদ ও স্বজনদের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি দল সন্ত্রাসী কায়দায় ইলিয়াসের দোকানে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে মারধর ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।

ঘটনার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে হামলাকারী দুবৃর্ত্তরা দোকানদার ইলিয়াসের স্ত্রী ইরান জন্নাত (২৬), স্ত্রীর বড় ভাই রিদুয়ানুল হক রাসেল (২৯), ইলিয়াসের বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম (৫৮) ও চাচা শ্বশুর নুরুল হুদা মানিক (৪৩) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে আহত নুরুল হুদা মানিক বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী নুরুল হুদা মানিক আরো জানান, ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ টাকাসহ নানা মালামাল লুট করে নিয়ে যান। বর্তমানে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায ভুগছি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত এজাহার দেওয়া হলে তা তদন্তপূর্বক মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের জন্য থানার একজন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।

সারাদেশ-এর আরও খবর