বড় মহেশখালীর প্রবাসী হাকিম উদ্দিনের লাশ দেশে আনার আকুতি পরিবারের

  বিশেষ প্রতিনিধি    13-09-2022    140
বড় মহেশখালীর প্রবাসী হাকিম উদ্দিনের লাশ দেশে আনার আকুতি পরিবারের

মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গাপাড়া গ্রামের বশির আহমদ পুত্র নিজের পরিবারকে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স্বপ্ন নিয়ে গত রমজানে পাড়ি জমায় সৌদি আরব। এ জন্য তাকে বাড়ির বসতভিটা ছাড়া সবটুকু জমি বিক্রি করতে হয়। অসহায় বৃদ্ধা মা সাজেদা বেগমও ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে আশায় বুক বেঁধে আছেন। কিন্তু সে আশা আর স্বপ্নে গুড়েবালি। ১০ দিন আগে মৃত্যু বরণ করেন, লাশ সৌদি আরবের হিমঘরে পড়ে আছে। এখন ছেলের লাশের অপেক্ষায় কেঁদে কাটছে বৃদ্ধা মা’র দিনরাত। তিনি ছেলের লাশ দেশে ফেরত আনতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি এবং সৌদি আরবের দূতাবাস ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবার। জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দেবাঙ্গাপাড়া গ্রামের বশির আহমদ ছেলে হাকিম মিয়া ৫,৮০,০০০ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসায় গত রমজান মাসে সৌদি আরব যান সৎভাই ফরিদ বশির নিকট, কাজও করছেন নিকট। গত ২৩ জুলাই সৌদি আরব জিদান আবাদ থানার আরেক এলাকায় সড়ক দুঘটনায় হয়ে প্রায় ৪১ দিন চিকিৎসার পর ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যু বরণ করেন হাকিম উদ্দিন। ঐ শহরের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে। নিহত সৎভাই ফরিদ বশির ভাইয়ের লাশ দেশে নিতে অনেক হয়রানি, কাগজপত্র ও অনেক অর্থের প্রয়োজন। আমাদের পক্ষে সবকিছু যোগাড় করা সম্ভব নয় বিধায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি। এরই মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন ও কিছু কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। নিহত হাকিম উদ্দিন ৬ বোনের ১ ভাই, মা সাজেদা বেগম ও স্ত্রী আমেনা আক্তার,দুই মেয়েকে নিয়ে তার স্বামীর লাশ ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আরও বলেন, মরদেহ যাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক সরকার।

সারাদেশ-এর আরও খবর