কক্সবাজারে ৫০০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালেলা কক্সবাজার জে সদরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নবনির্মিত ‘ডা. আব্দুর নুর বুলবুল ভবন’র শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
কক্সবাজার জেলা সদর হাস্পাতালে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে দেশ বিদেশ থেকে প্রতি বছরই লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এর সঙ্গে কক্সবাজারে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে। এখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা আছেন। প্রতিদিনই এখানকার সরকারি হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে, কক্সবাজারে চিকিৎসা সেবা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। কক্সবাজারে বর্তমানে ২৫০ শয্যার জেলা সদর সরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে ৬০০-৭০০ রোগী প্রতিদিনই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এত রোগীর চাপে হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এজন্য এ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো জরুরি। তাই, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কক্সবাজারের হাসপাতালে অচিরেই ২৫০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল করা হবে। এর পাশাপাশি এ হাস্পাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের বর্তমানের ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি এখন তিনতলা বিল্ডিং, সেখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্যদেরও সেবা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারে নতুন করে পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া অনেক কঠিন। তাই এ তিনতলা হাসপাতালটিকে ১০ তলা হাসপাতালে পরিণত করতে পারলে এখানকার পর্যটকসহ স্থানীয় ২৮ লাখ মানুষের সেবার মান বহুগুণ বাড়বে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য না পাওয়া গেলে সরকারিভাবেই এ উন্নয়ন কাজটি করা হবে।
মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা রকম সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, এখন সেটি আরও কয়েক লাখ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের কারণে এদেশের মূল্যবান বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে তা দেশের জন্য স্বস্তির হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবেই বলে সভায় উল্লেখ করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের উখিয়া, রামু অঞ্চলের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের হেড অব অপারেশন ইউকো আকাসাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান ও কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ড. মাহাবুবুর রহমান।
কক্সবাজারের সরকারি সদর হাসপাতালে অচিরেই ২৫০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল করা হবে
সদর হাসপাতালের নতুন বহিঃবিভাগ উদ্বোধন করেন : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক
কক্সবাজারে ৫০০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালেলা কক্সবাজার জে সদরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নবনির্মিত ‘ডা. আব্দুর নুর বুলবুল ভবন’র শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
কক্সবাজার জেলা সদর হাস্পাতালে, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে দেশ বিদেশ থেকে প্রতি বছরই লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এর সঙ্গে কক্সবাজারে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে। এখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা আছেন। প্রতিদিনই এখানকার সরকারি হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে, কক্সবাজারে চিকিৎসা সেবা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। কক্সবাজারে বর্তমানে ২৫০ শয্যার জেলা সদর সরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে ৬০০-৭০০ রোগী প্রতিদিনই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এত রোগীর চাপে হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এজন্য এ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো জরুরি। তাই, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কক্সবাজারের হাসপাতালে অচিরেই ২৫০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল করা হবে। এর পাশাপাশি এ হাস্পাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের বর্তমানের ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি এখন তিনতলা বিল্ডিং, সেখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্যদেরও সেবা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারে নতুন করে পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া অনেক কঠিন। তাই এ তিনতলা হাসপাতালটিকে ১০ তলা হাসপাতালে পরিণত করতে পারলে এখানকার পর্যটকসহ স্থানীয় ২৮ লাখ মানুষের সেবার মান বহুগুণ বাড়বে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য না পাওয়া গেলে সরকারিভাবেই এ উন্নয়ন কাজটি করা হবে।
মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা রকম সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, এখন সেটি আরও কয়েক লাখ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের কারণে এদেশের মূল্যবান বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে তা দেশের জন্য স্বস্তির হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবেই বলে সভায় উল্লেখ করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের উখিয়া, রামু অঞ্চলের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের হেড অব অপারেশন ইউকো আকাসাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান ও কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ড. মাহাবুবুর রহমান।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: March 29, 2024, 1:53 pm