কম টাকায় ভিসা পাসপোর্ট বিহীনভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দিয়ে বিভিন্ন লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে শত শত বাংলাদেশি বেকার উঠতি বয়সী যুবককে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করছে মানব পাচারকারীরা।
গত বছর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা দমনে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগর সন্নিহিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সোনাদিয়াসহ কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফ কেন্দ্রিক মানব পাচারকারী দালাল সিন্ডিকেট আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মালয়েশিয়ায় দালাল চক্রের মাধ্যমে মানব পাচার। মানবপাচার কাজে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ৪ দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পাচারকারী সিন্ডিকেট তৈরি করে শতশত যুবককে মালয়েশিয়ায় পাচার করছে। আবার অনেককেই মাঝপথে বার্মার গভীর পাহাড়ের টর্চার সেলে আটকে রেখে ক্ষেত্র ভেদে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মোটা অংকের মুক্তিপান আদায়ের পর নিয়ে যাওয়া লোকজনকে ধরিয়ে দিচ্ছে বার্মার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
এখনো পরিস্থিতিতে গত জুলাই থেকে আড়াই মাসে মিয়ানমারের আকিয়া ও মুন্ডু শহরের জেলখানায় আটকা পড়েছে অন্তত ৪ শতাধিক বাংলাদেশী যুবক। অনেকেই মারা পড়ছে মিয়ানমারের গহীন জঙ্গলে স্থাপিত পাচারকারীদের টর্চার সেলে টাকা আদায়ের নিমিত্তে মারপিট ও নির্যাতনের কারণে। তেমন ঘটনায় সম্প্রতি মহেশখালী উপজেলার ইউনিয়নের হামিদুর রহমান পাড়া গ্রামের ৫ যুবক সহ ৪ শতাধিক বাংলাদেশী আটকা পড়েছে মিয়ানমারের জেলখানায়। গত ৪ আগস্ট একই দিনে মিয়ানমারের মিলিটারির হাতে আটক হয়েছে ৭২ বাংলাদেশী। আটক হাওয়াদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা গেছে।
মিয়ানমারের অনলাইন ভিত্তিক স্থানীয় গণমাধ্যম " দ্যা রোহিঙ্গা রিয়েলিটি টিভি" সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট মিয়ানমারের আকিয়াব প্রদেশ এর অদুরে লাপ্পোড়া নামক উপকূলীয় এলাকায় সাগরে পাচারকৃত লোকবাহী একটি ইঞ্জিন বিকল ট্রলার থেকে বাংলাদেশী ৭২ জন নারী পুরুষকে মিয়ানমারের মিলিটারি আটক করে আকিয়াব জেলখানায় নিয়ে গেছে। সেখানে ৬৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছে।
মিয়ানমারের কারাগারে আটক যুবক সিরাজুল ইসলামের পিতা মোঃ ইসমাইল জানান, আমার ছেলে পান চাষ ও কৃষি কাজ করতো। গত দুই মাস পূর্বে দালালের প্রলোভনে পড়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কয়েক দিন খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন সে নৌপথে মালয়েশিয়া রওয়ানা হয়েছে। এর কিছুদিন পর জানতে পারি পথিমধ্যে মিয়ানমারে আটক হয়েছেন তার ছেলে একই সাথে যাওয়া আরো ৪ জন।
আটক মামুন মিয়ার শশুর কালাগাজীর পাড়া গ্রামের মৃত হাজী নুর আহমদ এর পুত্র আনিরুল হক বলেন, দালালের প্রলোভনে পড়ে তার জামাতা মামুন মিয়া স্ত্রী ও ছেলে সন্তান ফেলে অন্যান্যদের সাথে গোপনে পালিয়েছে। এখন মেয়ের পরিবারকেও নিজেকে সামাল দিতে হচ্ছে। তিনি মিয়ানমারের কারাগারে আটক মহেশখালীর যুবককে সরকারিভাবে মুক্ত করে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে শাপলাপুর এলাকা থেকে কয়েকজন দালালকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি দালালের প্রলোভনে পড়ে অবৈধ ভাবে সাগর পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মিয়ানমারের কারাগারে মহেশখালীর ৫ যুবকসহ ৪০০ বাংলাদেশি
কম টাকায় ভিসা পাসপোর্ট বিহীনভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দিয়ে বিভিন্ন লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে শত শত বাংলাদেশি বেকার উঠতি বয়সী যুবককে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করছে মানব পাচারকারীরা।
গত বছর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা দমনে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগর সন্নিহিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সোনাদিয়াসহ কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফ কেন্দ্রিক মানব পাচারকারী দালাল সিন্ডিকেট আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মালয়েশিয়ায় দালাল চক্রের মাধ্যমে মানব পাচার। মানবপাচার কাজে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ৪ দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী পাচারকারী সিন্ডিকেট তৈরি করে শতশত যুবককে মালয়েশিয়ায় পাচার করছে। আবার অনেককেই মাঝপথে বার্মার গভীর পাহাড়ের টর্চার সেলে আটকে রেখে ক্ষেত্র ভেদে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মোটা অংকের মুক্তিপান আদায়ের পর নিয়ে যাওয়া লোকজনকে ধরিয়ে দিচ্ছে বার্মার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
এখনো পরিস্থিতিতে গত জুলাই থেকে আড়াই মাসে মিয়ানমারের আকিয়া ও মুন্ডু শহরের জেলখানায় আটকা পড়েছে অন্তত ৪ শতাধিক বাংলাদেশী যুবক। অনেকেই মারা পড়ছে মিয়ানমারের গহীন জঙ্গলে স্থাপিত পাচারকারীদের টর্চার সেলে টাকা আদায়ের নিমিত্তে মারপিট ও নির্যাতনের কারণে। তেমন ঘটনায় সম্প্রতি মহেশখালী উপজেলার ইউনিয়নের হামিদুর রহমান পাড়া গ্রামের ৫ যুবক সহ ৪ শতাধিক বাংলাদেশী আটকা পড়েছে মিয়ানমারের জেলখানায়। গত ৪ আগস্ট একই দিনে মিয়ানমারের মিলিটারির হাতে আটক হয়েছে ৭২ বাংলাদেশী। আটক হাওয়াদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা গেছে।
মিয়ানমারের অনলাইন ভিত্তিক স্থানীয় গণমাধ্যম " দ্যা রোহিঙ্গা রিয়েলিটি টিভি" সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট মিয়ানমারের আকিয়াব প্রদেশ এর অদুরে লাপ্পোড়া নামক উপকূলীয় এলাকায় সাগরে পাচারকৃত লোকবাহী একটি ইঞ্জিন বিকল ট্রলার থেকে বাংলাদেশী ৭২ জন নারী পুরুষকে মিয়ানমারের মিলিটারি আটক করে আকিয়াব জেলখানায় নিয়ে গেছে। সেখানে ৬৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছে।
মিয়ানমারের কারাগারে আটক যুবক সিরাজুল ইসলামের পিতা মোঃ ইসমাইল জানান, আমার ছেলে পান চাষ ও কৃষি কাজ করতো। গত দুই মাস পূর্বে দালালের প্রলোভনে পড়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কয়েক দিন খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন সে নৌপথে মালয়েশিয়া রওয়ানা হয়েছে। এর কিছুদিন পর জানতে পারি পথিমধ্যে মিয়ানমারে আটক হয়েছেন তার ছেলে একই সাথে যাওয়া আরো ৪ জন।
আটক মামুন মিয়ার শশুর কালাগাজীর পাড়া গ্রামের মৃত হাজী নুর আহমদ এর পুত্র আনিরুল হক বলেন, দালালের প্রলোভনে পড়ে তার জামাতা মামুন মিয়া স্ত্রী ও ছেলে সন্তান ফেলে অন্যান্যদের সাথে গোপনে পালিয়েছে। এখন মেয়ের পরিবারকেও নিজেকে সামাল দিতে হচ্ছে। তিনি মিয়ানমারের কারাগারে আটক মহেশখালীর যুবককে সরকারিভাবে মুক্ত করে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে শাপলাপুর এলাকা থেকে কয়েকজন দালালকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি দালালের প্রলোভনে পড়ে অবৈধ ভাবে সাগর পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
শেখ জাহিদ হোসেন
নির্বাহী সম্পাদক
আলহাজ্ব শেখ সিদ্দিকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক
তাকছিমুন নাহার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার কে এম মেহেদী হাসান |
মোবাইল: ০১৭১১২৪৯৭৭০
হোয়াটস্অ্যাপ: ০১৭১১২৪৯৭৭০
প্রধান কার্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
|
প্রিন্টের তারিখ ও সময়: October 9, 2024, 3:48 pm