পেকুয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

  বিশেষ প্রতিনিধি    14-08-2023    94
পেকুয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পেকুয়ার মানুষ। অনেক এলাকায় এখনো পানি না নামায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া ও পেকুয়াসহ জেলার ৬০ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত পৌনে ৫ লাখ মানুষ। আর পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে ২১ জনের মৃত্যু এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে।

বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ শত একর চিংড়ি ঘের এবং ১৭ শত একর মিঠাপানির মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক বিভাগের ৫৯ ও এলজিইডির ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৭ টি ব্রিজ কালভার্ট এর ক্ষতি হয়েছে ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের টেকপাড়া,মইয়্যদিয়া,সাগর পাড়ায় এখনো পানিবন্দি রয়েছে অনেক লোক। বাড়ি ঘরে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় টেকপাড়া এলাকার মোঃ নাছির উদ্দিনের বাড়িটি লুটে পড়ায় এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

নাছির উদ্দিন জানান, সরকারি ভাবে কোন সাহায্য পেলে বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব না হয় পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে।

চকরিয়া ও পেকুয়ার জন্য ৬০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ ১৮ লক্ষ টাকা এবং গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ আরো ৬ লক্ষ টাকা এবং বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশন জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপজেলার প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

এই দিকে শিলখালী ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চকরিয়া পেকুয়ায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে সে সাথে দুর্গোত এলাকাতে এক মাসের খাবার হিসেবে ভিজিএফ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে কাজ করছে সরকার।

সারাদেশ-এর আরও খবর